শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

আবহাওয়া ব্যাকরণ ভুলে মে মাসেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়

আলতাব হোসেন
  ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে লন্ডভন্ড উপকূল -ফাইল ছবি

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় ধরা হয় নভেম্বর মাসকে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈরী আবহাওয়া তার ব্যাকরণ ভুলে গেছে। এখন ঘূর্ণিঝড়প্রবণ হয়ে উঠেছে মে মাস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে আঘাত হানা ৩৬টি ঘূর্ণিঝড়ের ১৫টিই হয়েছে মে মাসে। এর মধ্যে গত এক যুগেই সাতটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে মে মাসে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে উঠে আসে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা অন্য মাসের তুলনায় বেড়ে গেছে। এ সময় বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে তিন ডিগ্রি বেশি থাকে বলে প্রমাণ পেয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বাংলাদেশ ভূখন্ডে মে মাসে আঘাত হানা যত

প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে ১৯৭০ সালে প্রায় ৫ লাখ, ১৯৮৮ সালে ১ লাখ ৮ হাজার এবং ১৯৯১ সালে ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মৃতু্যবরণ করে। এ ছাড়া সিডর, আইলা, ফণী, মহসিন, নার্গিস মোরা, আম্ফান ও রেমাল ইত্যাদি ঘূর্ণিঝড় জনজীবনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এগুলোর ভয়াবহতা ছিল অত্যধিক। বারবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ ও দেশের মানুষ। সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের ফলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের নভেম্বরে আঘাত হানা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ২০০৮ সালের মে মাসে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় নার্গিস আঘাত হানে। ২০০৯ ?সালে ২৫ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের ১৪৯ ও বাংলাদেশের ১৯৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। ২০১৩ সালের ১৬ মে নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম উপকূল আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। এই ঝড় বাংলাদেশে ১৭ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় কোমেন। ২০১৬ সালে ২ মে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে এবং ভারতে আংশিক অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এই ঝড়ে ২৬ জনের মৃতু্য হয়। ২০১৭ সালের ৩০ মে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোরা। দুজন নারীসহ তিনজন মারা যান। ২০১৯ ?সালের ৩ মে বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বাংলাদেশে ৯ জনের মৃতু্য হয়। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশপরগনার সাগরদ্বীপ উপকূলে আঘাত হানার পর স্থলভাগ দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত করে। ঝড়ে মারা যান ২৪ জন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যেই ২০২০ সালের ২০ মে পশ্চিমবঙ্গে তান্ডব চালিয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবশ করে। তারপরও আম্ফানে ২৩ জনের প্রাণহানি হয়। চলতি বছরের ২৬ মে রাতে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এতে উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ ভূখন্ডে আঘাত হানা প্রলয়ংকরী যত ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয় ১৯৭০ ও ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়কে। প্রাণহানি ও ভয়ংকরের দিক থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে ষষ্ঠ স্থান দখল করে আছে বাকেরগঞ্জ ঘূর্ণিঝড়। ১৮৭৬ সালের ৩১ অক্টোবর বাকেরগঞ্জের উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় 'দ্য গ্রেট বাকেরগঞ্জ ১৮৭৬' নামেও পরিচিত। মেঘনা মোহনা এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও নোয়াখালী উপকূল পস্নাবিত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে বাকেরগঞ্জের নিম্নাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে পস্নাবিত হয়ে যায়, ঝড়ে আক্রান্ত ব্যতীত সমপরিমাণ মানুষ ঝড়-পরবর্তী বিভিন্ন অসুখ ও অনাহারে মৃতু্যবরণ করে। আনুমানিক হিসাবে দুই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এই ঘূর্ণিঝড়ে। আরও অধিক মানুষ মারা যায় দুর্যোগ-পরবর্তী মহামারি এবং দুর্ভিক্ষে।

১৯৬০ সালে অক্টোবরে ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার গতির প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বাকেরগঞ্জ, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও পূর্ব মেঘনা মোহনায়। ঝড়ে মারা যান প্রায় ১০ হাজার ?মানুষ। পরের বছর ১৯৬১ সালের ৯ মে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলে। প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ মারা যান ওই ঝড়ে। ১৯৬২ সালে ২৬ অক্টোবর ফেনীতে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে হাজারখানেক মানুষ মারা যায়। ১৯৬৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার এবং সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, হাতিয়া ও মহেশখালী। এই ঝড়ে প্রাণ হারান ১১ হাজার ৫২০ জন। ১৯৬৫ সালে মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ে বরিশাল ও বাকেরগঞ্জে প্রাণ হারান ১৯ হাজার ২৭৯ জন মানুষ। সে বছর ডিসেম্বরে আরেক ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজারে মৃতু্য হয় ৮৭৩ জনের। পরের বছর অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে সন্দ্বীপ, বাকেরগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিলস্নায়। এতে মারা যান ৮৫০ জন। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামে এক অক্টোবর ২০ থেকে ২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ঘূর্ণিঝড় হয়।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ংকরী গ্রেট ভোলা সাইক্লোন। ১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর এই ঝড়ে প্রাণ হারায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। চার লাখের মতো বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২২৪ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রামে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ১০ থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। ১৯৮৫ সালের ঘূর্ণিঝড় উরিরচরের ঘূর্ণিঝড় নামে পরিচিত। এ সাইক্লোনটির বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৫৪ কিলোমিটার। ১৯৮৮ সালের নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর এবং বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার। এই ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ হাজার ৭০৮ জন মানুষ মারা যায়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলে আঘাত হানে লাখো প্রাণঘাতী এক ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস কেড়ে নেয় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষের জীবন। এ ছাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক কোটি মানুষ নিঃস্ব হয়। ১৯৯৭ সালের ১৯ মে বাংলাদেশের সীতাকুন্ড ও এর আশপাশের এলাকায় আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। ঘণ্টায় ২৩২ কিলোমিটার বেগের বাতাসের সঙ্গে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা পস্নাবিত হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াল প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা ঘটে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। এদিন সিডর নামে ঘূর্ণিঝড়টি দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩০টি জেলায় আঘাত হানে। বেসরকারি হিসাবে প্রায় ২০ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। সরকারিভাবে তিন হাজার ১৯৯ জনের মৃতু্য ও এক হাজার ৭২৬ জনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানানো হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। এতে প্রাণ হারান ১৮ জন। বাঁধ ভেঙে পস্নাবিত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ। ২০১৩ সালের মে মাসের শুরুর দিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশে সৃষ্টি হয় মহাসেনের। এতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০১৭ সালের ৩০ মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ৫৪ হাজার ৪৮৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মারা যান আটজন।

আবহাওয়া বিজ্ঞানী ড. আবুল কালাম আকন্দ বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলো পৃথিবীর তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি হলো নার্গিস। ২০০৮ সালের মে মাসে এটি মিয়ানমারে আঘাত হানে। এতে প্রাণ হারায় এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। ১৯৭৫ সালের ৩১ জুলাই চীনের হেনান প্রদেশে টাইফুন নিনার ভয়াবহতা সব ঝড়কে পেছনে ফেলে দেয়। ভয়াবহ ওই ঝড়ে প্রাণ হারায় দুই লাখ ৩১ হাজার মানুষ। ১৮৮১ সালের অক্টোবর মাসে ভিয়েতনামের হাইফোং শহরে ভয়াবহ টাইফুন আঘাত হানে। এতে প্রাণ হারায় তিন লাখ মানুষ। ১৭৩৭ সালের অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে কলকাতায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড়। প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় তিন লাখ মানুষ। ১৮৩৯ সালের নভেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশের কোরিঙ্গা এলাকায় বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন প্রায় তিন লাখ মানুষ।

আবহাওয়াবিদ আবুল কাশেম জানান, ঘূর্ণিঝড় হলো ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সংবলিত আবহাওয়ার একটি নিম্নচাপ প্রক্রিয়া, যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে। এ ধরনের ঝড়ে বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ছুটে চলে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণন উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে। ঘূর্ণিঝড় পৃথিবীতে তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে। ষোড়শ শতাব্দীতে স্প্যানিশ শব্দ 'হুরাকান' থেকে ইংরেজিতে 'হারিকেন' শব্দটির প্রচলন হয়। আর টাইফুন শব্দটি এসেছে আরবি 'তাফা' অথবা চীনা 'তাইফেং' কিংবা এ দুই শব্দ থেকেই। অন্যদিকে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভারতে অবস্থান করা এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা এ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে গ্রিক শব্দ থেকে 'সাইক্লোন' শব্দটি নেন। এর অর্থ বৃত্তপথে ঘূর্ণায়মান। ঘূর্ণিঝড়ের ইংরেজি প্রতিশব্দ সাইক্লোন গ্রিক শব্দ 'কাইক্লোস' থেকে এসেছে। কাইক্লোস শব্দের অর্থ কুন্ডলী পাকানো সাপ।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রশিদ বলেন, 'হারিকেন' বলা হয় সেসব ঘূর্ণিঝড়কে, যেগুলো উৎপন্ন হয় উত্তর আটলান্টিক, উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত ক্যারিবিয়ান সমুদ্র ও মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে। অন্যদিকে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত সমুদ্র অঞ্চলঘেঁষা এশিয়ায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোকে বলা হয় 'টাইফুন'। আর দক্ষিণ গোলার্ধে, বিশেষত উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় ভারত সাগর, দক্ষিণ প্রশান্ত সমুদ্র অঞ্চল, বঙ্গোপসাগর অথবা আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোকে অভিহিত করা হয় 'সাইক্লোন' নামে। ভারত সাগরে সৃষ্ট সাইক্লোনগুলোকে দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো প্রবল শক্তিশালী মৌসুমি সাইক্লোন ও সুপার সাইক্লোন ঝড়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে