আবাসিক গ্রাহকদের জন্য আগামী ১ জুলাই থেকে পানির দাম ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)। এতে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির দাম ১৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতদিন আবাসিক গ্রাহকরা এক হাজার লিটার পানির জন্য ১৫ টাকা ১৮ পয়সা এবং একই পরিমাণ পানির জন্য বাণিজ্যিক গ্রাহকরা ৪২ টাকা বিল দিয়ে আসছিলেন।
বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য এ পরিমাণ পানির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছিল। ২০২২ সালে ফের পানির দাম বাড়াতে চাইলে সেটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। বিধি প্রণয়ন না করে ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সেসময় রুল জারি করে হাই কোর্ট। ফলে তখন পানির দাম বাড়েনি।
তারও আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হয় পানি ও পয়ঃ সেবার বিল। ২০১৭ সালে ঢাকা ওয়াসা আবাসিক পর্যায়ে পানির দাম ১০ টাকা থেকে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫ টাকা এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ৩২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৩ দশমিক ৬ টাকা করে।
পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন ১৯৯৬-এর ২২ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা আছে, 'কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সেবার জন্য আরোপিত অভিকর বা চার্জ প্রত্যেক বছরে একবার সংশোধন করা যাবে।'
একই ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা আছে, 'উপধারা-১-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, মূল্যস্ফীতির কারণে পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত ব্যয় বহনের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ বোর্ডের অনুমোদনক্রমে উক্ত অভিকর বা চার্জ প্রতি অর্থবছরে একবার অনধিক পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত সমন্বয় করতে পারবে।'
ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্য দ্বীপ আজাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আইন অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে ওয়াসা প্রতিবছর পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়াতে পারে। এর বেশি দাম বাড়ালে বোর্ডে পাস করতে হবে। পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে বোর্ড সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। শেষ বোর্ড মিটিংয়ে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে কথা হয়েছিল।'