চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল সিলেটে এক দশকের সর্বোচ্চ গরম

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা ও সিলেট প্রতিনিধি
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এর আগে শুক্রবার এই জেলার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, একই দিনে সিলেটে গত এক দশকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের রিকশাচালক কামরুল ইসলাম জানান, গত দুই দিন ধরে তারা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তীব্র রোদে রিকশা চালাতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠছেন। কিছুক্ষণ পরপর বিশ্রাম নিতে হচ্ছে তাদের। শহরের মুদি ব্যবসায়ী দাউদ হোসেন বলেন, 'ফ্যানের বাতাসও যেন গায়ে লাগছে না। বাচ্চারা বেশি কষ্ট পাছে। রাতে ভ্যাপসা গরমে তারা ছটফট করছে।' আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, 'শনিবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কমতে পারে। সিলেটে এক দশকের সর্বোচ্চ গরম সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ্‌ মো. সজিব হোসেন জানান, শনিবার বেলা ৩টায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি বলেন, 'সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড হয়েছিল। এরপর এটাই সর্বোচ্চ।' দেশে সাধারণত মার্চ-জুন গরম বেশি থাকে। এই সময়ে বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমে। আগামী কয়েক দিন এ রকম গরম থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানান সহকারী আবহাওয়াবিদ সজিব হোসেন। সিলেট নগরীর তালতলা এলাকার রিকশাচালক ইকরাম আলী বলেন, 'ইলা (এই রকম) গরম দিলে রুজি-রোজগার করা যাইত না। ইলা গরমে রিকশা চালাইলে ভেতরটা ফাটি যায়। গরম বাড়ার লাগি আগের মতো ইনকাম নাই। মেঘ (বৃষ্টি) দিলে বালা লাগত, না হয় বাঁচার উপায় নাই আমরার মতো গরিবদের।' নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়ের বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, 'আজকের গরমে অবস্থা শেষ। রাস্তার কোথাও কোথাও গালা (পিচ) গলতেও দেখা গেছে; তবে বেশি গলেনি। এভাবে গরম থাকলে জনজীবনে প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা বেশি খারাপ হবে। কয়েকদিন ধরে সিলেটে বৃষ্টিও হচ্ছে না।'