'স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বিচার কার্যক্রমও স্মার্ট করতে হবে' বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার বিকালে দিনাজপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জর উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'দেশের সব আদালতে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে সাধারণ বিচারপ্রার্থী মানুষ, সাক্ষী এবং জামিনে থাকা আসামিরা বসতে পারবেন, বিশ্রাম নিতে পারবেন। এখানে মানুষ বিশ্রামের পাশাপাশি মায়েরা তাদের শিশুদের খাওয়াতে পারবেন এবং স্টোরের ব্যবস্থা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বিচার কার্যক্রমও স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট বিচার
কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা একটি সাধারণ পদক্ষেপ মাত্র।'
তিনি আরও বলেন, 'সব মানুষেরই আইনের অধিকার নেওয়ার অধিকার রয়েছে। সংবিধান এটা নিশ্চিত করেছে। আইন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে আমরা যারা বিচার বিভাগে কাজ করছি, প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সহকারী জজ পর্যন্ত সবাই একই কায়দায় নিয়োজিত আছি। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছে। জনগণের অধিকার, ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তার প্রাথমিক এবং অত্যন্ত সামান্যতম পদক্ষেপ হলো এই ন্যায়কুঞ্জ।'
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, জেলা ও দায়রা জজ যাবিদ হোসেন, স্পেশাল জজ রেজাউল করিম সরকার, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার এসকেএম তোফায়েল হাসান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উলস্নাহ, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ প্রমুখ।
পরে ন্যায়কুঞ্জর পাশে প্রধান বিচারপতি
ওবায়দুল হাসান একটি বকুল ফুলের চারা ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সফেদার
চারা রোপণ করেন।