আজকের যায়যায়দিন

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ফখরুল সাহেব বলেছে- বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই। আপনাদের যদি শত্রম্ন রাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাহউদ্দিন এতদিন নিরাপদে কেমন করে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেনি। তার জীবনে তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনো হানি ঘটেনি। এ ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধু রাষ্ট্রকে?

বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সংস্কৃতিক উপ-কমিটির 'সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়' সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ খবর গণমাধ্যমে আসলে বিএনপি

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, 'শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, আওয়ামী লীগের 'কথিত' সংসদ সদস্যরাও সরকারের বন্ধুরাষ্ট্রের (ভারত) কাছে নিরাপদ নয়।'

ফখরুলের ওই বক্তব্যের পর ওবায়দুল কাদের সভায় আরও বলেন, 'কলকাতার নিউ টাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। গত দুই-তিন দিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল। তার পরিবারসহ কেউ জানে না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তা ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। এখানে বন্ধুরাষ্ট্রের...।'

তিনি বলেন, 'তাকে (আনোয়ারুল আজিম) যারা হত্যা করেছে, যে ফ্ল্যাটটিতে সেটা বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয় জনের মতো, এর মধ্যে পাঁচজনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটা নিয়ে 'যার দেখতে নাড়ি, চলন বাঁকা এ ধরনের উক্তি করা সমীচীন না।'

দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ঢাকায় ডোনাল্ড লু সাহেব আসলো, ভাবলাম তারা আসলে সম্পর্ক ভালো করতে চায়, কিন্তু নিশিরাতে তারা স্যাংশন দিলো। তাদের স্যাংশন আমরা তোয়াক্কা করি না। যারা গণহত্যাকে অস্বীকার করে, তারা ভিসনীতি বা নিষেধাজ্ঞা দিল, সেসব তোয়াক্কা করি না।'

সংস্কৃতি-বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।