আজকের যায়যায়দিন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজিং) কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশের বিধান অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ফলে কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কোনো সুপারিশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

সেই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনের ২(২) ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী শহীদুলস্নাহ কুমিলস্নার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনে বাধা নেই। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির সার্টিফাইট কপি হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার তাপন কান্তি বল।

এর আগে, এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত বলেন, প্রাথমিক স্কুল পরিচালনা কমিটিতে কারা থাকবেন, সে বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরামর্শ বা কারও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন না। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বলেন, ২০০৮ এবং ২০১৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রজ্ঞাপন আছে, যেখানে বলা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল পরিচালনা কমিটিতে দুইজন বিদ্যোৎসাহী (নারী ও পুরুষ) সদস্য থাকবেন, যাদের ব্যাপারে নাম প্রস্তাব করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

এ কারণে শহীদুলস্নাহ নামে একজন অভিভাবক ওই প্রজ্ঞাপনের ২(২) ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। তিনি বলেন, সাধারণত একজন সংসদ সদস্য যখন কারও নাম প্রস্তাব করেন তখন তাকেই সভাপতি করা হয়। তাহলে নির্বাচনের তো আর প্রয়োজন হয় না। এ কারণে ওই প্রজ্ঞাপনের ২(২) ধারা চ্যালেঞ্জ করে শহীদুলস্নাহ নামে একজন অভিভাবক হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে আদালত রায় ঘোষণা করেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (ম্যানিজিং) কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ করার বিধান অবৈধ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য কোনো সুপারিশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী।