এবারের বাজেট অধিবেশন আগামী ৫ জুন শুরু হবে, যা হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন। সেদিন বিকাল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে বলে সোমবার সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
এই অধিবেশনেই আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এটি হবে বর্তমানে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। আসন্ন বাজেট সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নাধীন। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ব্যয় বরাদ্দ রেখে বাজেট পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে বলে কয়েকজন কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গত ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার কার্যালয়ে বাজেটের সর্বশেষ প্রস্তুতি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরদিন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা কর রাজস্বসহ অন্যান্য সম্পদ আহরণের পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যান।
প্রধানমন্ত্রী বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে কী নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে কিছুদিন আগে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছিলেন, 'সামগ্রিকভাবে বলা যায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রান্তিক মানুষের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবারের বাজেটের অগ্রাধিকারে থাকবে।'
নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে
জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, 'এবার বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।'
এছাড়া যেসব খাত দীর্ঘদিন কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে, সেসব খাত থেকে কর অব্যাহতির সুবিধা উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।