নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ধান কাটার মৌসুম, বৈরী আবহাওয়া, বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসছে না- এসব কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা-অনাস্থার বিষয় নয়, পছন্দের প্রার্থী না পাওয়ায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম হয়েছে। তবে কত শতাংশ ভোটার উপস্থিত হলে সন্তোষজনক হবে এ বিষয়ে দায়বদ্ধতা নেই।
সোমবার
নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কম, বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ মনে করেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, 'ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে এ জন্য ব্যাপকসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনেও তাই করেছি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও তেমন হবে। কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখা। নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। সারা বিশ্বে ভোটারদের ভোটের প্রতি আগ্রহ কমছে। বিভিন্ন কারণে ভোটাররা অংশ নিতে চায় না। ভালো প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ না নিলেও অনেক সময় ভোটাররা ভোট দিতে যায় না।'
এদিকে বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ভোট বর্জনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যার অংশ হিসেবে চলমান উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। ভোটারদেরও বর্জন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করছে।
বিষয়টি নিয়ে মো. আলমগীর বলেন, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। যেকোনো দল ভোটে অংশ নিতে পারে, বিরত থাকতে পারে, ভোটারদেরও আহ্বান করতে পারে। তবে সেটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে হয়।
তিনি আরও বলেন, ভোট বর্জনের জন্য সহিংস কর্মকান্ড করলে সেটা তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। শান্তিপূর্ণভাবে তারা প্রচার করলে কেউ বাধা দিতে পারবে না।
গত ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন হয়েছে। ২১ মে দ্বিতীয়, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ হবে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এজন্য বিএনপির ভোট বর্জননীতিকেও দায়ী মনে করছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। কারণ তারা ভোট বর্জন করায় তাদের কর্মী, সমর্থকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন না। তবে বিএনপি একমাত্র ফ্যাক্টর না।