দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সংঘাত ও ভোটার খরার আশঙ্কা
প্রকাশ | ২১ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও সহিংসতার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, প্রতিপক্ষকে হুমকি এবং প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় কেন্দ্রে ভোটার খরার শঙ্কাও জোরালো হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন শনিবার রাতে পথসভা থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দীন আহমেদ হামলার শিকার হন। এছাড়া বরগুনার পাথরঘাটা, বগুড়ার শিবগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। শরীয়তপুরের জাজিরায় এক পোলিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোয় ৮ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজকের ভোট নিয়ে সহিংসতার শঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে, নির্বাচনী এলাকায় আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, যেসব উপজেলায় আজ ভোট গ্রহণ হবে সেসব এলাকার সব তফসিলি ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা এবং সব ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় বন্ধ থাকবে।
গত ২ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে রাউজান ও কুমিলস্না আদর্শ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে না। এছাড়া মামলা ও বিভিন্ন কারণে তিন উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে না। এই ধাপে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে ২৪ উপজেলায়।
ইসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৬০৩, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৩ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫২৮ জন। নির্বাচনে ভোটার ৩ কোটি ৪২ লাখ। ভোটকেন্দ্র ১৩ হাজার ১৬টি এবং ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি। এ নির্বাচনে ৭ জন চেয়ারম্যানসহ ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ওইসব পদে ভোট হবে না।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় ১০২ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১ কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম ও ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৮১টি কেন্দ্র।
সোমবার সকালে খাগড়াছড়ির রির্টানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জোনায়েদ কবীর সোহাগ সংবাদ সম্মেলনে জানান, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জেলা সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার ৪১টি ভোটকেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম ও ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অতি দুর্গম হওয়ার কারণে দীঘিনালার নাড়াইছড়িতে সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে হেলিকপ্টারে। আর নিকটবর্তী বাকি ৬১ ভোটকেন্দ্রে ব্যালট যাবে মঙ্গলবার ভোটের দিন সকালে।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নির্বাচনী অপরাধ দমনে মাঠে রয়েছেন ৬১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১০ জেলার ১৭ উপজেলায় ২-৪ পস্নাটুন অতিরিক্ত বিজিবি,র্ যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১২ হাজার ৩২৩টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জাম পাঠানো হবে মঙ্গলবার সকালে।
সংঘাতের আশঙ্কা:প্রথম ধাপের নির্বাচনের জেরে গোপালগঞ্জ সদর ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় সংঘর্ষে দু'জন নিহত হন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার এ নির্বাচন ঘিরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সাইদুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গত শুক্রবার সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এক প্রার্থীর দুই সমর্থক আহত হন। অনেক জায়গায় প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা, সংঘর্ষ ও নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পাশাপাশি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা এবং সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। যে কারণে ভোটের দিনও সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকে। স্থানীয় এমপি ও প্রভাবশালী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করে কতটুকু সুষ্ঠু ভোট সম্ভব হবে- সেটি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোনো কোনো প্রার্থী। অন্যদিকে অনেকটা একতরফা এ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভোটারদের কতটা ভোটকেন্দ্রে আনা যাবে তা নিয়েও অনেকে সন্দেহ ও সংশয়ে রয়েছেন।
তবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয় সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। আর প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী কমিশন।
ভাঙ্গায় উঠান বৈঠকে হামলার ঘটনায় মামলা:ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউলস্নাহর সমর্থিত প্রার্থী মোখলেছুর রহমান সুমনের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে এমপি নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের হামলার অভিযোগে প্রার্থীর ভাই মোতালেব মাতুব্বর বাদী হয়ে ইয়াকুব মাতুব্বরসহ ২১ জনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
শনিবার রাত ৯টায় ভাঙ্গার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় চারটি গাড়ি ও বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
কুড়িগ্রামে সংঘর্ষ:শনিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে নির্বাচনী প্রচার-পথসভা চলাকালীন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে পাঁচজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজবাড়ীতে হাতুড়িপেটা:বালিয়াকান্দিতে নির্বাচনী কর্মিসভায় যাওয়ার পথে সালাম মন্ডল ও জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। সালাম উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের তেকাটি গ্রামের ছামাদ মন্ডলের ছেলে এবং জাহাঙ্গীর মৃত কাসেম মন্ডলের ছেলে। তাদের শনিবার রাতে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালাম বলেন, সোনাপুর বাজারে সন্ধ্যার পর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী কর্মিসভা ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে দক্ষিণবাড়ী গোরস্থানের কাছে পৌঁছালে ৭-৮ জনের একদল যুবক হাতুড়িপেটা করে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়ায় নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন:আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার (আনারস) নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ২টার দিকে গাজীর বাজারের পশ্চিম পাশে মুরাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে হঠাৎ আগুন দেখে বাজারে লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে অফিসে থাকা পোস্টার, ব্যানার পুড়ে যায়। আখাউড়া থানার ওসি নুরে আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
বিনা ভোটে জয়ী ২১ প্রার্থী:একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এরই মধ্যে এ ধাপে নির্বাচিত হয়েছেন ২১ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে কুমিলস্না আদর্শ সদরে আমিনুল ইসলাম, জামালপুরের ইসলামপুরে মো. আ. ছালাম, ফরিদপুরের নগরকান্দায় মো. ওয়াহিদুজ্জামান, চট্টগ্রামের রাউজানে এ কে এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আবুল কাশেম চিশতী, সাভারে মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কামাল হোসেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজশাহীর বাগমারায় শহীদুল ইসলাম, রাঙামাটির রাজস্থলীতে হারাধন কর্মকার, কুমিলস্না আদর্শ সদরে আহাম্মেদ নিয়াজ, চট্টগ্রামের রাউজানে নুর মোহাম্মদ, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রফিকুল ইসলাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সুমন ও রূপগঞ্জে মিজানুর রহমান। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাঙামাটির রাজস্থলীতে গৌতমী খিয়াং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সাঈদা সুলতানা, কুমিলস্না আদর্শ সদরে হোসনে আরা বেগম, চট্টগ্রামের রাউজানে রুবিনা ইয়াছমিন রুজি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হোসনে আরা বেগম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শাহিদা মোশারফ ও রূপগঞ্জে ফেরদৌসী আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি:দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬৩ জেলার ১৫৬ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে যে কোনো ধরনের অনিয়ম বন্ধে এসব ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিন মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তায় প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আদালত পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে দু'জন সশস্ত্র পুলিশ সদস্যও থাকছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে তিন দিন মোটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
জাজিরায় পোলিং অফিসারকে মারধর: জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি জানান, মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির পক্ষে কাজ করার প্রস্তাবসহ অর্থের প্রলোভন ফিরিয়ে দেওয়ায় মীর আবু সাইদ নামে এক পোলিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে জাজিরার শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার বিকে নগরবাজারে ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোটর সাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও বিকে নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার বলেন, 'আপনি কোথা থেকে বিষয়টি জেনেছেন তা আমি বুঝতে পারছি না। মীর আবু সাইদ এমন কোনো বংশের ছেলে নয় যে, তাকে ম্যানেজ করতে পারলে একশ' ভোট পাওয়া যাবে। হতে পারে সে সরকারি চাকরিজীবী ও পোলিং অফিসার। তার সঙ্গে আমাদের কারও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।'
বিষয়টি জানার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
খুলনায় তিন উপজেলায় ভোট: খুলনা অফিস জানায়, দ্বিতীয় ধাপে খুলনার ফুলতলা, দিঘলিয়া ও তেরখাদায় উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, তিন উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭০৩ জন। এর মধ্যে দিঘলিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজার ৭৪৮ জন। ভোটকেন্দ্র ৫২টি। ফুলতলা উপজেলার ৪ ইউনিয়নে মোট ভোটার এক লাখ ১৫ হাজার ১৮৭ জন। তেরোখাদা উপজেলার ৬ ইউনিয়নে এক লাখ ৩ হাজার ৭৬৮ জন ভোটার রয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৩টি।
৮ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি: শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়াসহ নানা অভিযোগে ৮ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম। তিনি জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের স্থলে নতুন নিয়োজিত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
শিবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজনসহ মোট ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।