আজকের যায়যায়দিন

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমান সুমনের পথসভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা কয়েকটি গাড়ি, চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেছে। এ সময় দুইজন আহত হয়েছেন।

শনিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া ব্রাহ্মণকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমান সুমন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুলস্নাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে। অপর দিকে কাউছার ভূঁইয়া স্থানীয় এমপি মুজিবুর

রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থিত হিসেবে পরিচিত। তিনি আলগী ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।

ইসরাইলি হামলায় হিজবুলস্নাহ প্রধান নাসরুলস্নাহ নিহত

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী (কাজী জাফরুলস্নাহর) মোখলেছুর রহমান সুমন বলেন, 'শনিবার রাতে আমাদের ব্রাহ্মণকান্দা প্রাইমারি স্কুল মাঠে পথসভা করছিলাম। আমাদের বক্তব্য প্রায় শেষ পর্যায়। আমার প্রতিপক্ষ কাউছার ভূঁইয়ার সমর্থক পাশের বামনকান্দা গ্রামের ইয়াকুব মিয়া, আক্কাচ মাতুব্বর ও পুকুরিয়া গ্রামের তুহিন খানের নেতৃত্বে ১০০-১৫০ জন লোক এসে আমার পথসভায় হামলা করে। এ সময় তারা আমাদের মাইক, চেয়ার ও ৫টি মাইক্রো গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।'

এ প্রসঙ্গে এমপি নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক প্রার্থী কাউছার ভূঁইয়া বলেন, 'মিথ্যা ও অসত্য কথা বলার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ। আমি ঘটনার সময় অন্য আলগি ইউনিয়নের মিটিং করছিলাম। কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি জানি না।'

এ ব্যাপারে ওসি ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন আল ইসলাম জানান, 'হামলার সংবাদ শুনে দ্রম্নত ঘটনাস্থলে যাই। ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৩০-৪০ জন লোক এসে হামলা করেছে। ৩-৪টি গাড়ি ও মাইক ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।