স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচি শেষে ছাত্রলীগ কর্মী খুন
প্রকাশ | ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় ছাত্রলীগের মেহেদি হাসান (১৮) নামে এক কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। কর্মসূচিতে আসা সংগঠনের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধেই হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোভাযাত্রা থেকে ফিরে বাসে ওঠার সময় তিনি হামলার শিকার হন।
মেহেদি রাজধানীর বাড্ডা নূরেরচালা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এদিন বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত একটি আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সেই কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার ইমরান হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত নাকি অন্য কোনো কারণে এই হত্যা তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। ঘটনার পর কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। নিহতের লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল
\হকলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মেহেদি ছাত্রলীগের কর্মী এবং তার মা স্থানীয় ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছেন নিহতের মামা মো. চয়ন।
নিহত মেহেদির মামা চয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী। তার সঙ্গেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিল মেহেদি।
তার আরেক মামা জানে আলম বলেন, মেহেদি ভাটারার ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন মেহেদি।
মেহেদির মামা চয়ন বলেন, তারা তিনটি বাসে করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন। কর্মসূচি শেষে সংসদ ভবন এলাকায় রাখা বাসে করে ফেরার কথা ছিল তাদের।
বাসে ওঠার সময় আগে যাওয়া নিয়ে একই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা আরেকদল কর্মীর সঙ্গে মেহেদিদের হাতাহাতি হয়। সেখানেই মেহেদিকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে তার মামার ভাষ্য।
যাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল তারা রাজধানীর শ্যামলী এলাকার এক কাউন্সিলরের সমর্থক বলেও জানিয়েছেন চয়ন।
মেহেদির আরেক মামা জানে আলম বলেন, ৩২ নম্বরে মিছিল শেষে তারা ১০-১২ জন হেঁটে আসছিলেন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ঢোকার সময় একই দিক থেকে তিনটি পিকআপ আসছিল। তারা রাস্তা পার হওয়ার জন্য পিকআপগুলোকে থামাতে হাত তোলেন। এ নিয়ে পিকআপ ভর্তি একই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা ওই কর্মীদের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়। এরপর তারা হেঁটে সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে এল আসার পর সেই পিকআপের লোকজন তাদের আটকায়। সেখানে একদফা বচসা, হাতাহাতির মধ্যেই তারা মেহেদিকে ছুরিকাঘাত করে।