নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণ

জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নারী জুজুৎসু ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র?্যাব। শনিবার রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করের্ যাব-১২। র্ যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একজন নারী জুজুৎসু ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের পর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত ১৬ মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক এম. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত সুয়োমোটোতে বলা হয়, কুংফু-কারাতে শেখানোর ছলে মেয়েদের সম্ভ্রমহানি করেছেন বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। এতে রাজি না হলে \হমেয়েদের মারধর করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন তিনি। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এসব অপকর্মের অসংখ্য প্রমাণ, আপত্তিকর ছবি এবং অডিও রেকর্ড পেয়েছে একটি গণমাধ্যমে। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় জানা যায়, অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ ট্রেইনি নারী। আর এই নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতেন নিউটন। এরপর ভালো চাকরি ও বিদেশে খেলতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের মতো অপকর্ম করতেন অভিযুক্ত নিউটন। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো ঘৃণিত অপরাধে জড়িত তিনি। জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমোটোতে উলেস্নখ রয়েছে, ক্রীড়াসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ যখন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন ক্রীড়া-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীর সম্ভ্রমহানি, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতনসহ অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর গর্ভপাত করানোর মতো যে অভিযোগ বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা অত্যন্ত ঘৃণিত ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কমিশন মনে করে, অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তদন্তপূর্বক বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি যথাযথ আইনে মামলা হওয়া আবশ্যক। সুয়োমোটোতে আরও বলা হয়, অভিযোগের বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আগামী ১২ জুন প্রতিবেদন জমার দিন ধার্য করা হয়েছে।