রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

ঢাকার জলাভূমি গিলছে কারা?

তিন দশকে কমেছে ১৭ শতাংশ ৭৬ শতাংশ বেড়েছে কংক্রিটের আচ্ছাদন সবুজ আচ্ছাদিত এলাকা আছে ৯ শতাংশ
বীরেন মুখার্জী
  ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০
পুরান ঢাকার ইসলামপুরে নবাববাড়ির ঐতিহ্যবাহী গোলপুকুর -সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকেও রাজধানীর শাহবাগ, শান্তিনগর, বাসাবো, রাজারবাগ, খিলগাঁও, শেরেবাংলা নগর, উত্তরা, কমলাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রকৃতি দেখে মন প্রফুলস্ন হয়ে উঠত। কিন্তু কয়েক দশকের ব্যবধানে এসব এলাকার জলাশয়গুলোর বুকে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। জলাধার রক্ষার আইন থাকলেও সেটার বাস্তব প্রয়োগ ঘটছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলাশয় ও ফসলি জমি নষ্ট করে স্থাপনা নির্মাণ না করতে বার বার নির্দেশনা দিচ্ছেন। তারপরও রক্ষা করা যাচ্ছে না জলাশয়গুলো। শুধু পুকুর কিংবা খালই নয়, ঢাকাকে ঘিরে আছে যেসব নদ-নদী, দখলে দূষণে তারও অবস্থা বেগতিক। গবেষণা বলছে, গত তিন দশকে ঢাকার জলাভূমি কমেছে ১৭ শতাংশ। আর সবুজ আচ্ছাদিত এলাকা আছে মাত্র ৯ শতাংশ। প্রশ্ন উঠেছে, রাজধানীর জলাশয় রক্ষা ও সবুজ আচ্ছাদিত রাখার দায়িত্ব যাদের কি করছেন সেই কর্তাব্যক্তিরা, জলাশয়গুলোই বা গিলছে কারা? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময় শাহবাগে বড় দু'টি পুকুর ছিল, এর একটি ভরাট করে আজিজ সুপারমার্কেট ও অন্যটি ভরাট করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বঙ্গবন্ধু ও জিয়া হল নির্মাণ করা হয়েছে। আজিজ সুপারমার্কেটের পশ্চিম পাশের পুকুর ভরাট করে নির্মিত হয়েছে বিদু্যৎ বিভাগের একটি পাওয়ার হাউস। শেরেবাংলা নগর এলাকায় অন্তত ১০টি ছোট-বড় জলাশয় ছিল। নগর উন্নয়ন ও সরকারি বহুতল ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে বেশির ভাগ পুকুর ইতোমধ্যে 'নাই' হয়ে গেছে। শুধু ইউজিসি ভবন, বেতার ভবন ও শেরেবাংলা বালক বিদ্যালয়ের তিনটি জলাশয় টিকে থাকলেও সেগুলো দখল-দূষণে ধুঁকছে। বসুন্ধরা শপিংমলের পাশের পুকুর ভরাট করে উঠেছে পানি ভবন। জিগাতলা, রায়েরবাজার এলাকায় ছোট ছোট পুকুর ছিল। বর্তমানে সেগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে বহুতল ভবন। বাসাবো, খিলগাঁও, রাজারবাগ এলাকায় সরকারিভাবেও ভরাট করা হয়েছে পুকুর। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পুকুর, কমলাপুর রেলস্টেশনের পূর্বদিকে রেলের ঝিল, আহমদবাগ এলাকার ঝিলের নাম মানচিত্র থেকে মুছে গেছে। মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনের জলাধারটিও দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসছে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সিক্কাটুলী পুকুরটিও হুমকির মুখে। এভাবেই একের পর এক রাজধানী থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে পুকুর। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পস্ন্যানার্সের (বিআইপি) ২০২৩ সালের গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে (চলতি মাসের ৪ তারিখে 'ঢাকায় তাপদাহ :নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় এবং করণীয়' শীর্ষক পরিকল্পনা সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রকাশিত), তিন দশক আগে ঢাকার মোট আয়তনের ২০ শতাংশের বেশি এলাকায় জলাভূমি ছিল। এখন এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ শতাংশের নিচে। অর্থাৎ গত তিন দশকে রাজধানীর জলাভূমি ১৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে কোনো শহরের বাসযোগ্যতা নিশ্চিতে সেই শহরের মোট ভূমির ১৫ শতাংশ সবুজ আচ্ছাদিত রাখা জরুরি। কিন্তু রাজধানীতে এখন সেটিও আছে মাত্র ৯ শতাংশ। নগর-পরিকল্পনাবিদদের এই সংগঠন বলছে, নগর-পরিকল্পনার মানদন্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকার কথা। কিন্তু গবেষণার দেখা গেছে, ১৯৯৫ সালে ঢাকা শহরে সবুজ এলাকা ও ফাঁকা জায়গা ছিল ৫২ বর্গকিলোমিটারের বেশি। এখন সেটি প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে ৩০ বর্গকিলোমিটারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে ঢাকা শহরের মোট আয়তনের ২০ শতাংশের বেশি ছিল জলাভূমি। এখন তা মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ। গত তিন দশকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট জলাভূমির প্রায় ৮৬ শতাংশ ভরাট হয়েছে। এছাড়া ১৯৯৫ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকায় কংক্রিটের আচ্ছাদন বেড়েছে প্রায় ৭৬ শতাংশ। বিআইপি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে একদিকে সবুজ আচ্ছাদিত এলাকা ও জলাশয় কমেছে। অন্যদিকে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ বেড়েছে। গত তিন দশকে (১৯৯৫ সালের পর থেকে) ঢাকায় কংক্রিটের আচ্ছাদন প্রায় ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৫ সালে ঢাকায় পুকুর-জলাশয়-খাল ছিল ২ হাজার। আর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পস্ন্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণা বলছে, রাজধানীতে বর্তমানে পুকুর আছে ২৪টি। রাজধানীর পোস্তগোলার পাশের মুরাদপুর এলাকায় ছিল দু'টি ছোট পুকুর। পাশের এলাকা দোলাইরপাড়ে দু'টি বড় ও গেন্ডারিয়ায় অন্তত চারটি বড় পুকুর ছিল। এর মধ্যে মাত্র দু'টি এখনো টিকে আছে। বাকিগুলো হারিয়ে গেছে নগরায়ণের চাপে। স্থানীয়রা জানান, দোলাইরপাড় পুকুরটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভরাট করে। ২০২১ সালে ডিএসসিসি বর্জ্য রাখার জন্য পুকুরটি ভরাট করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। পুকুর ভরাটের বিপক্ষে সে সময় হাইকোর্টে রিট করা হয়। দীর্ঘদিনেও পুকুরটির ভরাট অংশের মাটি অপসারণ করে পূর্বাবস্থায় ফেরাতে উদ্যোগ নেয়নি ডিএসসিসি। পর্যাপ্ত জলাধার না থাকায় রাজধানীতে আগুন লাগলে তা নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায় না। ফলে আগুনে ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। চলতি মাসের ৪ তারিখে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'বারবার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ:প্রতিরোধে করণীয়' শীর্ষক নগর সংলাপ অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকায় পানির অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে ২০১৮ সালে রাজধানীতে পুকুর ছিল ১০০টি, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯টিতে। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে ঢাকায় পুকুর কমেছে ৭১টি। যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগের বাগিচা মসজিদের পাশে একযুগ আগেও ছিল শতবর্ষী বিশাল পুকুর। এখন সেই পুকুরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় দুষ্কর। পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়েল্ডিং কারখানা। বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নয়নের নামে সরকারি মালিকানাধীন পুকুর ভরাট করে সুউচ্চ অফিস ভবন বানাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দশকের ব্যবধানে রাজধানীর ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরের বুকে ভবন তুলে অনেকেই উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছেন ফ্ল্যাট। জলাধার রক্ষার আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকায় জলাশয় কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা জরুরি হয়ে পড়েছে।' গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) গত বছরের ২৩ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়, সরকারি সংস্থা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে ১৯৮৫ সালেও ঢাকায় দুই হাজারের মতো পুকুর ছিল। ৭০ হাজার হেক্টর আয়তনের এসব জলাভূমি মাছ চাষ ও গোসলসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হতো। পুরান ঢাকায় ছিল ১২০টির মতো পুকুর। আশপাশ এলাকার তাপমাত্রা কমাতে এসব পুকুরের ভূমিকা ছিল। ঢাকায় এখন সাকল্যে ২৪১টি পুকুর কোনোমতে টিকে আছে। আর পুরান ঢাকায় টিকে আছে মাত্র ২৪টি। বাকি ৯৬টি পুকুরই ভরাট হয়ে গেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যে ২৪১টি পুকুর দখলমুক্ত অবস্থায় টিকে আছে তার বড় অংশই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আওতায় রয়েছে। এ জন্য প্রভাবশালীরা দখল করতে পারছে না। আর ৮৬টি পুকুরের অস্তিত্ব থাকলেও তা সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর দখলে চলে গেছে। এর মধ্যে সরকারি সংস্থা দখল করে আছে সাতটি পুকুর আর বেসরকারি সংস্থা দখল করেছে ৭৯টি। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সম্প্রতি একটি সেমিনারে বলেন, 'পুকুর, জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছে। মান্ডা, জিরনিসহ বেশ কয়েকটি খাল উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জলাশয় রক্ষা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করতে ডিএসসিসি কাজ করছে।' রাজধানীর জলাশয়ের সংখ্যা নিয়ে বিআইপি, মৎস্য অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস কিংবা দুই সিটি করপোরেশনের তথ্যের কিছুটা গড়মিল থাকলেও জলাধারগুলো যে উধাও হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে সবাই একমত। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকার তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বৃদ্ধির জন্য শুধু বৈশ্বিক কারণ দায়ী নয়, নিজেদের দায়ই বেশি। বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, 'উন্নয়ন বলতে শুধু অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বোঝায় না, বরং দেশের সব মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে বাঁচতে পারে, সেই দেশ গঠন করাই প্রকৃত উন্নয়ন।' এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'জলাধার রক্ষার জন্য একটি আইন আছে। তবে সেটার বাস্তব প্রয়োগ নেই। ফলে সরকারি-বেসরকারি সব জলাধারই ভরাট হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই যখন ভরাট করে, তখন অন্যরা কী করবে। এ কারণে বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে রাজধানী।' বিআইপির বোর্ড সদস্য আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ঢাকার অনেক খালের ক্ষেত্রে দেখা যায় মানচিত্র ও দলিলে তা ২৫ থেকে ২৬ কিলোমিটার। কিন্তু বাস্তবে ১০ থেকে ১১ কিলোমিটারও খুঁজে পাওয়া যায় না। বাকি খাল কে গিলে ফেলল?' এই দখল ঠেকানোর দায়িত্ব যাদের, তারা কী করে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বর্তমান বাস্তবতায় ঢাকাকে আদর্শ বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার সম্ভাবনা দেখেন না বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান। নগর সংলাপে তিনি বলেন, 'ঢাকাকে হয়তো জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে চলার মতো করা সম্ভব। তবে বর্ধিত ঢাকা (দুই সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া নতুন এলাকা) এবং পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প যেন পরিকল্পিত হয়, সেই চেষ্টা থাকা দরকার। তবে কাজটি করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা।' বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'জলাধার রক্ষার জন্য একটি আইন আছে। তবে সেটার বাস্তব প্রয়োগ নেই। ফলে সরকারি-বেসরকারি সব জলাধারই ভরাট হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই যখন ভরাট করে, তখন অন্যরা কী করবে। এ কারণে বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে রাজধানী।' বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে হলে বিদ্যমান সবুজ ও জলাশয় এলাকা সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়া, দখল হওয়া খাল ও সবুজ এলাকা পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ, নগর এলাকায় সবুজায়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, আবাসিক এলাকা ও ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে সবুজায়ন ও বনায়নের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন, সরু সড়কের পাশে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ বন্ধ করা এবং নগর-পরিকল্পনা ও ভবনের সঠিক নির্মাণ নিশ্চিতে পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি ও প্রকৌশলীদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে