শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

কুমিলস্নায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃতু্যদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
  ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০
কুমিলস্নায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃতু্যদন্ড

কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৯ জন আসামির ফাঁসি ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় হয়েছে। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ হয়েছে। রোববার কুমিলস্নার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে জামাল উদ্দিন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়া এলাকায় যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও

কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ এজাহার নামীয় ২১ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত দুইজনসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় আদালত ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন এবং ৯ জনের মৃতু্যদন্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিয়েছেন।

মৃতু্যদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, একই ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও আমির হোসেন।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।

আদালতের পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৯ জনের মৃতু্যদন্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা এবং অপর পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা রায়ের কপি হাতে পেলে বিধি মোতাবেক উচ্চ আদালতে আপিল করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে