মা দিবসে মাকে যমজ বোনের 'গোল্ডেন এ পস্নাস' উপহার

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ওয়ালিয়া নাওয়া ও ওয়াজিয়া নাওয়া যমজ বোন। দুজনই এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় 'গোল্ডেন এ পস্নাস' পেয়েছে। রোববার এ দুই বোন নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রত্যাশিত ফল জানার পর আনন্দে মেতে ওঠে। খানিক দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে মেয়েদের এ আনন্দ-উলস্নাসের ছবি তুলছিলেন মা শান্তা হোসাইন। যমজ মেয়েদের গোল্ডেন এ পস্নাস প্রাপ্তিতে খুশিতে আত্মহারা তিনিও। শান্তা হোসাইন বলেন, ওরা যেদিন ভিকারুননিসায় চান্স পেয়েছিল সেদিন যে খুশি লেগেছে। আজও একই আনন্দ অনুভব করছি। ওরা ওদের পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। সত্যি কথা বলতে, পড়াশোনার জন্য ওদের কখনো জোর করতে হয়নি। ওদের কাজ ওরাই করেছে। আমি শুধু পাশে থেকেছি। এটি ওদের শুরু। ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে হবে। আরও বড় বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ সময় ওয়াজিয়া নাওয়া বলেন, এটি আসলে অন্যতম বড় প্রাপ্তি। মা অনেক কষ্ট করেছেন, এটি মায়ের জন্য উপহার। এছাড়া ভালো ফলাফলের পেছনে আমার বাবা ও শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। তবে বিশেষভাবে বলতে গেলে আমাদের বড় ভাই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ওয়াজিয়া বলেন, 'ভাইয়া গত বছর মারা গেছেন। তিনি এসএসসিতে ভালো ফলাফলের জন্য সবসময় পরামর্শ দিতেন। ভাইয়া মারা যাওয়ার পর তার কথা আমাদের দুই বোনের মাথায় গেঁথে যায়। আমরা সবসময় চেয়েছি যেন ভাইয়ার ইচ্ছাটুকু পূরণ করতে পারি। আলহামদুলিলস্নাহ, আমরা সেটা পেরেছি।' বাসায় দুই বোনের পড়াশোনা নিয়ে অন্য বোন ওয়ালিয়া নাওয়া বলেন, আমরা দুজনই প্রতিযোগিতার মনমানসিকতা নিয়ে পড়ালেখা করেছি। আমি ভোরে ওর চেয়ে এক ঘণ্টা বেশি পড়াশোনা করলে সে রাতে আমার চেয়ে এক ঘণ্টা বেশি পড়ত। যেকোনো পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া নিয়েও আমাদের মধ্যে কম্পিটিশন হতো। এভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। সবসময় আমরা একজন অন্যজনকে বিট করতে চাইতাম। আবার পরীক্ষা হলে মনে করতাম দুজন দুজনের পাশে আছি। ভবিষ্যতে নিজেদের কোন পর্যায়ে দেখতে চান- জানতে চাইলে ওয়ালিয়া বলেন, আমি মনে করি জীবনে ভালো মানুষ হওয়া এবং সব দিক থেকে ভালো হওয়ার চেষ্টা করাটাই আমাদের বড় লক্ষ্য। সবার আগে ভালো মানুষ হতে চাই।