হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ | ১০ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে সিলেটের এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ১১ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আগুয়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার আগুয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক কাদির মিয়া (৩০), তার নিকটাত্মীয় সিরাজ মিয়া (৫০) ও লিলু মিয়া (৫০)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আগুয়া গ্রামে একটি অটোরিকশা স্ট্যান্ড আছে। সেখান থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশাগুলো চলাচল করে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে অটোরিকশা চালক কাদির মিয়া গাড়িতে একজন যাত্রী ওঠালে স্ট্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক বদরুল আলম বাধা দেন। এ সময় দু'জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির খবর আগুয়া গ্রামে পৌঁছালে দুই পক্ষের আত্মীয়-স্বজনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, বলস্নম ও ইটপাটকেল নিয়ে মারামারিতে জড়ান। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, প্রতিপক্ষের বলস্নমের আঘাতে অটোরিকশা চালক কাদির মিয়া, তার স্বজন সিরাজ মিয়া ও লিলু মিয়া নিহত হন। তারা সবাই এক পক্ষের লোক। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নাঈম মিয়া (৩০), দিলু মিয়াসহ (৪০) পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আহত মারুফ মিয়া (৩০), সফিক মিয়াসহ (৬০) ১১ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা মাহতাব মিয়া বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বদরুল আলমের (সিএনজি স্ট্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক) আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহেলের চাচাতো ভাই অটোরিকশা চালক কাদির মিয়ার সঙ্গে যাত্রী ওঠানো নিয়ে বদরুলের কথা-কাটাকাটি হয়। গ্রামে ওই খবর পৌঁছলে দুই পক্ষের পুরানো বিরোধ চাঙা হয় এবং দেশি অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া বলেন, নিহত তিনজনের মধ্যে কাদির ও সিরাজ তার চাচাতো ভাই। মৃত লিলু মিয়া সম্পর্কে তার মামা হন। এ ব্যাপারে জানতে সিএনজি স্ট্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক বদরুল আলমের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানো নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন অটোরিকশা চালক। অপর দুজন কৃষিকাজ করেন। তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।