উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে জনগণ :রিজভী

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে জনগণ। আবারো প্রমাণ হলো বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট বর্জন করেছে। বুধবার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রিজভী বলেন, উপজেলা নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র ভোটার শূন্য। বিভিন্ন জায়গায় কৃত্রিম লাইন তৈরি করে উৎসব দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ এই পাতানো প্রহসনের ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। এই নির্বাচনের ফলাফল আগেই নির্ধারিত ছিল। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে ভোটারবিহীন নির্বাচনে কেউ চেয়ারম্যান হলে হাতিশালে হাতি ও ঘোড়াশালে ঘোড়ার অভাব হয় না। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী এমপি ও নেতাদের স্বজন ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচিত হতে পারে না। ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফলাফল নির্ধারিত থাকে, সেটিই ঘোষিত হয়। যে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই সেই দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। রিজভী আরও বলেন, উপজেলা প্রতিষ্ঠান পরিণত হয়েছে লুটেরা ও দসু্যদলের আখড়ায়। এমনও দেখা যাচ্ছে ভোটারবিহীন নির্বাচনে দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে ১০০ বিঘার বেশি জমির মালিক। অথচ আইন অনুযায়ী ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি যতই উচ্চারিত হয় ততই সরকারের কাছে জেল-জুলুমের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী সরকারের একতরফা ভারত তোষণ নীতির কারণে বিএসএফ বাংলাদেশিদের মানুষ বলে গণ্য করে না। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই নিরীহ বাংলাদেশি হত্যার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত যেন এখন সরাসরি রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে বাংলাদেশে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রতিবাদ জানাতেও পারছে না সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বিচার চাইলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহতদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ। রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী বাহিনী নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবীসহ অধিকারবঞ্চিত জনগণের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। নতুন করে গুম ও বিরোধ দলেরওপর আক্রমণ প্রতিদিনের সংবাদে পরিণত হয়েছে।