লবণ মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আহত মোহাম্মদ ওসমান (৩৮) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মোহাম্মদ ওসমান বড় মহেশখালীর ফকিরাকাটা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে। এর আগে গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাকাটা এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় মোহাম্মদ ওসমানসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
মহেশখালী থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার লবণ মাঠের দখল নিয়ে আবদুল গফুর ও মোহাম্মদ আমানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত ২১ এপ্রিল বিকালে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাকাটা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।
গত শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে আবারও গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল গফুরের পক্ষের মোহাম্মদ ওসমান ও মোহাম্মদ আমানের পক্ষের মোহাম্মদ মকসুদ। এর মধ্যে রোববার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ ওসমান মারা যান। তবে এ ঘটনায় সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মোহাম্মদ ওসমানের বড় ভাই খাইরুল আমিন বলেন, 'শুক্রবার বিকালে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আমান তার বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে তার মৃতু্য হয়'।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, 'লবণ মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘাত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে'।