হাওড়ে প্রায় শতভাগ ধান কাটা শেষ

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০

বিশেষ প্রতিনিধি
হাওড়ের ৯৭ শতাংশ ধান কাটা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ বছর হাওড়ের সাতটি জেলা- সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হাওড়ের ধান যত দ্রম্নত সম্ভব কাটার অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করায় অতিদ্রম্নত ধান কেটেছেন কৃষকরা। হাওড়ের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। পাকা ধান যাতে দ্রম্নত কৃষকের ঘরে তোলা যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওড়ের কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার প্রদান করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওড়ভুক্ত ৭টি জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর মধ্যে এ বছরই নতুন ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওড়ের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে দ্রম্নত ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি। এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ২২ লাখ টন। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওড়ে বোরো ধান কাটা উৎসবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি জোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য এ বছরও বোরোর আবাদ ও ফলন বাড়াতে আমরা অনেক গুরুত্ব দিয়েছি। বোরোর আবাদ বাড়াতে ২১৫ কোটি টাকার বীজ, সার প্রভৃতি কৃষকদেরকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, সারাদেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না।