পাঁচ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বৃষ্টিতেও ফেরেনি স্বস্তি

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ঢাকায় ২৫ জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজও ছুটি

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
টানা তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং রাতে রাজধানী ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি নামে। এতে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমে। তারপরও শুক্রবার ৫ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৪-৫ দিন দেশে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে এবং গরম কিছুটা কমবে। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আগামী পাঁচ দিনে সারা দেশে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লাগাতার দাবদাহে অতিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষ। তীব্র গরমে কমে গেছে রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি। এদিকে তীব্র দাবদাহের মধ্যে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে নাটোরের বাগতিপাড়া। প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক আচরণে জনমনে ছড়িয়েছে নানা প্রশ্ন। বৈচিত্র্যপূর্ণ আবহাওয়া কি তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে মানবকুলের ওপর অজানা কোনো কারণে প্রতিশোধ নিচ্ছে। নাকি প্রকৃতি তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে এমন অস্বাভাবিক আচরণ করছে- দিনভর এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরে উচ্চারিত হয়েছে এলাকাবাসীর মুখে। অন্যদিকে, তীব্র দাবদাহে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে ওই এলাকাগুলোতে গোসল, খাবার পানি ও সেচ পাম্পে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি গরম পড়লে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বাড়ে। তীব্র তাপপ্রবাহ ও আর্দ্রতার কারণে খেটে খাওয়া মানুষ সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন; স্বাভাবিক সময়ের মতো কাজ করতে পারেন না। এতে তাদের আয়ও কমে। সার্বিকভাবে ক্ষতি হয় অর্থনীতির। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঢাকায় ১০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, শুক্রবার সকালে দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানায়- রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় এই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় দেশের পশিচমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় কিছু কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। নাটোরে হঠাৎ ঘনকুয়াশা গ্রীষ্মের খরতাপে যখন পুড়ছে দেশ, ঠিক তখনই নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দেখা মিলল শীতের কুয়াশায় ঘেরা ভোর। শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার পরিবর্তে বড়াল নদীবেষ্টিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হঠাৎ ঢেকে যায় ঘনকুয়াশায়। প্রকৃতির অবস্থা দেখে বুঝার উপায় ছিল না এটি শীতকাল নাকি উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল। তবে ঘণ্টা দেড়েক পর সূর্যের তাপের সঙ্গে পালস্না দিতে না পেরে কুয়াশার চাদর সরিয়ে স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে প্রকৃতি। প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক রূপে জনমনে ছড়িয়েছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয়রা জানান, ভোরের আলো ছড়াতেই হঠাৎ করে যেন ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেল এলাকা। শীতকালের মতো ঘনকুয়াশায় এতটাই ঢেকে ছিল যে, সামান্য দূরের কাউকেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না। উপজেলার তমালতলা, জামনগর, বিহারকোলসহ পুরো উপজেলায় এ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সূর্যের উত্তপ্ত আলো বের হয়। তবে কুয়াশার এমন চিত্র অনেকে তাদের নিজের মোবাইল ফোনেও ধারণ করেন। চকতকিনগর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বছির উদ্দিন জানান, মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখেন ঘন কুয়াশা। তার জীবদ্দশায় গ্রীষ্মের এমন খরতাপের মধ্যে শীতকালের কুয়াশা তিনি দেখেননি। প্রকৃতি তার স্বাভাবিকতা হারানোর কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তমালতলা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজনীন সুলতানা জানান, ভোরে হঠাৎ কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি তার নজরে এসেছে। সেই সময় আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা অনুভূত হয়। তবে বিষয়টা অস্বাভাবিক বলে তিনি মনে করেন। ফুলবাড়িতে পানি উঠছে না নলকূপে এদিকে প্রায় দেড় মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে। ফলে টানা খরার কবলে পড়েছে জেলাবাসী। এলাকার খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। মাঠ ফেটে চৌচির। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপে উঠছে না পানি জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশাখ মাসে পানির স্তর ৩৫ থেকে ৪০ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। উঁচু এলাকাগুলোতে পানির সংকট আরও ভয়াবহ। ফলে ওই এলাকাগুলোতে খাওয়ার পানির পাশাপাশি গোসলের পানি ও সেচ পাম্পে পানি না ওঠায় সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় পানি নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির পুরুষ সদস্যরা আশপাশের পুকুর কিংবা অন্য কোথাও গোসল সেরে নারীদের জন্য বালতিতে ভরে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। খাবার ও রান্নার কাজের জন্য পানি সংগ্রহ করতে ছুটতে হচ্ছে আশপাশের গভীর নলকূপ কিংবা সেচ পাম্পে। উপজেলার নওদাবস শেখপাড়া এলাকার শিক্ষক আব্দুর রহমান শেখ জানান, ২২৫ ফুট গভীর টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছে না। প্রয়োজনের তাগিদে প্রচুর চাপ প্রয়োগ করে পানি নিতে হয়। টিউবওয়েলের পাশাপাশি তার সেচ পাম্পেরও একই অবস্থা। উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ?'বৈশাখ মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর ৩৫ থেকে ৪০ ফুট নিচে নেমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে এ উপজেলায় ৯২টি গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) বসানো হয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলেই পানির সংকট পুরোপুরি কেটে যাবে।' গরমে বছরে ক্ষতি ৬শ' কোটি ডলার বিশ্লেষকরা বলেন, তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বাড়ে। তীব্র তাপপ্রবাহ ও আর্দ্রতার কারণে খেটে খাওয়া মানুষ সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন; স্বাভাবিক সময়ের মতো কাজ করতে পারেন না। তাপপ্রবাহের কারণে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কমে যায়। সার্বিকভাবে প্রভাব পড়ে অর্থনৈতিক উৎপাদনেও। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় ঢাকা শহরের অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি হয়। তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকা শহরের জিডিপির ৮ শতাংশ ক্ষতি হয়- বছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। বর্তমান বাজার দরে (প্রতি ডলারের দাম ১১০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশ বেশ বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। ২০২২ সালের শেষের দিকে ঢাকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১২টি বড় শহরে তাপপ্রবাহের কারণে অর্থনীতির কতটা ক্ষতি হয়, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার। সেখানে এই চিত্র উঠে এসেছে। ২৫ জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজও ছুটি এদিকে, তাপ প্রবাহের মধ্যে উচ্চ আদালতের আদেশে ছুটি শেষে আজ শনিবার ক্লাস শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তবে গরম না কমায় এ দিনও ২৫ জেলায় স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলা এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটির পর গরমের কারণে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিল সরকার। পরে শিখন ঘাটতি কাটাতে ৪ মে থেকে শনিবারও ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা আসে। সে অনুযায়ী দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভেঙে শনিবার ক্লাস শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে। এরই মধ্যে বৃষ্টি হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে। ফলে ৩৯ জেলায় শনিবার ক্লাসে বসবে শিক্ষার্থীরা। গত রোববার সারা দেশে স্কুল খুলে দেওয়ার পর গরমের মধ্যে অনেক জায়গায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসে। বিষয়টি তখন আদালতে গড়ায়। ওই অবস্থায় রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই ছুটির পর শুক্র-শনির সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, 'রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে। এর মধ্যে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তাহলে আমরা সেটি শনিবার জানিয়ে দেব।'