উপজেলা নির্বাচন

দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়ায় ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার ৬১ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন রয়েছেন। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- 'গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে'। বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, যে ৬১ জনকে শোকজ করা হয়েছে তারা উপজেলা পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে রয়েছেন। দলের নির্দেশনার পরও তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। এর আগে প্রথম ধাপের ভোটে প্রার্থী থাকায় দল থেকে তৃণমূলের ৮০ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সূত্রমতে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হবে ২১ মে। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। প্রথম ধাপে দলের কঠোর মনোভাবের পরেও দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থীদের আগ্রহ বিএনপিতে ভাবনা বাড়াচ্ছে। এছাড়া প্রার্থীদের বোঝানোর জন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের কোনো ব্যর্থতা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপেও বিএনপি নেতাদের অনেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে থাকা দলটির বহিষ্কারের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। যদিও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে কিছু নেতা বহিষ্কার হলেও তাতে তাদের দলের কোনো ক্ষতি হবে না।