দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত
প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
চলতি বছরের দ্বিতীয় অধিবেশনে বসেছেন আইনসভার সদস্যরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এই দ্বিতীয় অধিবেশন ৯ মে পর্যন্ত চলবে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সংসদের বৈঠক বসে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন।
এবারের অধিবেশনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হয়েছেন- আওয়ামী লীগের এমএ মান্নান, আসাদুজ্জামান নূর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন নেসা।
স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অগ্রবর্তিতার ভিত্তিতে সভাপতিমন্ডলীর সদস্যরা সংসদ পরিচালনা করবেন।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মনোনয়নের পর স্পিকার সংসদে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন।
এর আগে বিকাল ৪টায় সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির এ অধিবেশনে মেয়াদকালসহ অন্যান্য কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে চলতি অধিবেশন ৯ মে পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শেষ হয় গত ৫ মার্চ। সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরের অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক : সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়।
কমিটির সভাপতি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন।
এছাড়া কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের, আবুল হাসানাত আব্দুলস্নাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন বৈঠকে ছিলেন।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি অধিবেশন শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতিদিন বিকাল ৫টায় বসবে। ৯ মে দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে দেওয়া হয়।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৩৮টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ৯০২টি প্রশ্নসহ মোট ৯৪০টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিস পাওয়া গেছে ৫৬টি এবং প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এ নোটিস পাওয়া যায়নি। বেসরকারি বিলের নোটিস পাওয়া যায়নি। চারটি সরকারি বিলের কমিটিতে পরীক্ষাধীন একটি ও সংসদে উত্থাপনের অপেক্ষায় তিনটি।