যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি
আগামী ৪ ও ৫ মে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস হিটস্ট্রোকে চার জেলায় ৫ জনের মৃতু্য
প্রকাশ | ০১ মে ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহ চলছে ৩১ দিন। এর মধ্যে একদিনের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও মঙ্গলবার স্মরণকালের ইতিহাসে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পুড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা যশোর। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়া পাবনায় ৪৩ দশমিক ২ এবং রাজশাহীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন ঢাকায় তাপমাত্রা ওঠে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যা আগের দিনের প্রায় ২ ডিগ্রি কম। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মঙ্গলবার ছিল দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে তপ্ত দিন।
এদিকে, মঙ্গলবার তীব্র গরমে দেশের চার জেলায় ৫ জনের মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নাটোরের নলডাঙ্গায় প্রবাসী, ঝিনাইদহে গরু ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জে কৃষক এবং মুন্সীগঞ্জে কৃষকসহ দু'জন রয়েছেন। বাড়ছে গরমজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। এছাড়া তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সারা দেশে খেটে খাওয়া মানুষের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত সাত দিনে হিটস্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন। আর আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি আগামীকাল অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে আগামী ৪ ও ৫ মে দেশের বিভিন্ন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে পথচারীদের স্বস্তি দিতে বিতরণ করা হচ্ছে খাবার পানি ও স্যালাইন।
মঙ্গলবার আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মলিস্নক বলেন, 'যশোরে স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে মঙ্গলবার। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল। আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।'
চলতি মৌসুমে টানা ৩১ দিন ধরে চলা দাবদাহ আরও দুয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে
সোমবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ঢাকায় ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা জানান, মরুভূমির তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিল-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় রেকর্ড হওয়া ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ১৯৮৯ সালের পর সর্বোচ্চ। চুয়াডাঙ্গার রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। একেবারে মরভূমির তাপমাত্রা। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, টানা ২০ দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা।
এদিকে অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণিকুল। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিটস্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
পাবনা প্রতিনিধি জানান, সারা দেশে সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে পাবনার তাপমাত্রা। আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে গড়ছে নতুন রেকর্ড। একদিকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রার তাপদাহ অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সবমিলিয়ে পাবনার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। এর আগে সোমবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
তীব্র গরমে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাবনার জনজীবন অসহনীয় হয়ে পড়েছে। জীবনযাত্রার অনেক কিছুই থমকে গেছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য খুবই খারাপ অবস্থা। অতি তীব্র তাপদাহে তারা কাজে যেতে পারছেন না। এছাড়াও তাপদাহের কারণে আম-লিচুর গুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শত শত শিশু রোগীর চাপ।
রাজশাহী অফিস জানায়, ৫২ বছরের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মঙ্গলবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগের দিন সোমবার রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, 'এর আগে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর ২০০৫ সালের ২ জুন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২০১৪ সালের ২১ মে এবং ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সর্বোচ্চা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০০৭, ২০১০ ও ২০১২ সালে রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে।'
দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহ জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এর মধ্যে প্রচন্ড গরমে নাটোর, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় পাঁচজনের মৃতু্য হয়েছে।
নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় ভুট্টা তুলতে গিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে এক সৌদি প্রবাসীর মৃতু্য হয়েছে। মারা যাওয়া খায়রুল ইসলাম ওই এলাকার মো. আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ১৫ দিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন।
নাটোরের সিভিল সার্জন মো. মশিউর রহমান বলেন, 'সৌদি প্রবাসী খায়রুল সকালে শ্রমিকদের সঙ্গে তার ভুট্টার জমিতে কাজ করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে তীব্র গরমে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে খাজুরা বাজারে আনলে সেখানে তার মৃতু্য হয়।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, শৈলকুপা উপজেলায় গরমে অসুস্থ হয়ে এক গরু ব্যবসায়ীর মৃতু্য হয়েছে। মৃত জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২) উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
মৃতের প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিন বলেন, 'মঙ্গলবার দুপুরে মালিপাড়া থেকে গরু নসিমনে উঠানোর সময় হঠাৎ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন জাহাঙ্গীর হোসেন। তাকে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।'
জেলা সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, 'তিনি হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
উলস্নাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় ধান ক্ষেত পরিচর্যা করতে গিয়ে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে এক কৃষকের মৃতু্য হয়েছে। মারা যাওয়া জিলস্নুর রহমান (৩৫) উপজেলার সলপ ইউনিয়নের চর তাড়াবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
সলপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বলেন, 'মঙ্গলবার সকালে নিজের ধানক্ষেত পরিচর্যা করতে গিয়ে প্রচন্ড গরমে জিলস্নুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশপাশের কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উলস্নাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ সদরে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।'
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, তীব্র তাপপ্রবাহে দু'জনের মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে মারা যাওয়া ওমর আলী (৬৫) মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মোলস্নারচর এলাকার বাসিন্দা এবং বাতেন মাঝি (৬৮) শহরের মানিকপুরের বাসিন্দা।
মারা যাওয়া বাতেন মাঝির চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, 'চাচা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন। আজ তিনি জমি বিক্রির কাজে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সেখানে গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তার মাথায় পানি দিই। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।'
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, 'প্রচন্ড গরম সহ্য করতে না পেরে হিটস্ট্রোকে ওই দু'জন মারা গেছেন।'
জেলা সিভিল সার্জন মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, 'সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। জনসাধারণের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবার্তা অনুসরণ করে এই গরমে কাজকর্মে যান।'
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃতু্য
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানান, গত সাত দিন সারা দেশে হিটস্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সোমবারই তিন জন মারা গেছেন। এ ছাড়া হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত ২২ এপ্রিল থেকে কন্ট্রোল রুম মনিটরিং করে সারা দেশ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে এক কর্মকর্তা জানান।
সারা দেশে বজ্রঝড়-বৃষ্টির আভাস
আগামী ৪ ও ৫ মে দেশের বিভিন্ন বিভাগে বজ্রঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।
তিনি জানান, আজ বুধবার সিলেট ও চট্টগ্রামে এবং বৃহস্পতিবার এই দুই বিভাগের সঙ্গে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে ৪ থেকে ৫ মে দেশের বড় অংশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, চলতি এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল। এ মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এছাড়া ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, ১৪টি বজ্রঝড় রেকর্ড হয়। কিন্তু এবার হয়েছে মাত্র একটি।
বদলে গেছে আদালতের চিরচেনা চিত্র
এদিকে তীব্র গরমে বদলে গেছে রাজধানীর আদালতের চিরচেনা চিত্র। যেখানে আদালতের আইনজীবী, বিচারকরা কোর্ট-টাই, গাউন পরে বিচারকার্যে করতেন। সেখানে তারা শুধু সাদা জামার ওপরে টাই পরে শুনানি করছেন। তীব্র গরমে চিরচেনা সেই কালো কোর্ট-গাউন এখন আর নেই। স্থান পেয়েছে সাদা শার্ট ও কালো টাই অথবা নেকব্যান্ড।
এর আগে চলমান তাপপ্রবাহে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত, ট্রাইবু্যনালগুলোর বিচারক ও আইনজীবীদের মামলা পরিচালনাকালীন নির্ধারিত পোশাক পরিধানের বিধান শিথিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নির্দেশক্রমে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।