আজকের যায়যায়দিন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের পর অভিয়েশন খাতের হাব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। নতুন নতুন গন্তব্যে ডানা মেলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও দেশের বেসকারি এয়ারলাইন্সগুলো। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৯টি দেশের এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে। এর মধ্যে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আদ্দিস আবাবা-ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ার চায়না প্রথমবারের মতো সরাসরি বেইজিং-ঢাকা-বেইজিং ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। মে মাসে এ দু'টি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।

যেসব এয়ালাইন্স অপেক্ষমান রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, শ্রীলংকার ফিটস এয়ারলাইন্স, রয়েল জর্ডান এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, কুরিয়ান এয়ার, ইরাক এয়ারওয়ে, এয়ার ফ্যান্স, পাকিস্তান

ইন্টারন্যাশনাল এয়ারওয়েজ, উজবেকিস্তান এয়ারওয়ে, রিয়াদ এয়ার, চেক রিপাবলিকান এয়ারলাইন্স, স্পেন এয়ার, সাউথ আফ্রিকা এয়ার লাইন্স, ঘানা এয়ার, সাইপ্রাস এয়ার, লাটবিয়া এয়ার, কেনিয়া ও তার্কিমেনিস্তান এয়ারলাইন্স।

গত ডিসেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে কূটনৈতিক আলোচনার পর ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়েছে। ১৪৭টি বিমান নিয়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার বৃহত্তম বিমান সংস্থা এবং পরিষেবা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান সংস্থা। আফ্রিকার বিস্তৃত নেটওর্য়ার্কের জন্য পরিচিত এয়ারলাইন্সটি তার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকায় প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আদ্দিস আবাবা থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস / অর্থনীতিতে স্বস্তি, বাজারে অস্বস্তি

সম্প্রতি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এয়ার চায়না ঢাকা-বেইজিং-ঢাকা রুটে সপ্তাহে দু'টি ফ্লাইট চালু করবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ভ্রমণকে সহজতর করা। কারণ বর্তমানে ঢাকা থেকে কুনমিং এবং গুয়াংজুর মতো চীনা শহরগুলোতে ফ্লাইট পরিচালিত হয়। চীনের রাজধানীতে পৌঁছানোর জন্য ফ্লাইটগুলোকে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হয়। ৪৯৭টি উড়োজাহাজের বহর নিয়ে এয়ার চায়না তার বিদ্যমান ৪৫২টি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রুট সম্প্রসারণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ও এয়ার চায়না বাংলাদেশে মে মাস থেকেই তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। এই দুই বিদেশি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই দু'টি এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিসে সহায়তা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এ বিষয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন, বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে পরিণত করার জন্য আমরা কাজ করছি। এর অংশ হিসেবে মে মাস থেকে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স এবং এয়ার চয়নাকে ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।