রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে রোববার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর। বিজ্ঞপ্তিতে পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বলেন, 'রুমা উপজেলার দুর্গম বকলাই পাড়া এলাকায় রোববার সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির দুইজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।' এ ছাড়া তিনটি অস্ত্র, বিপুল গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে রুমার রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড বাকলাই পাড়া এলাকার থানচি-লিক্রি সড়কের পাশের জঙ্গলে গুলিবিদ্ধ দুই মরদেহ পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিল স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ওই এলাকায় প্রচন্ড গোলাগুলি শব্দ শোনা গিয়েছিল। পরে রোববার সকালে গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা। প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। তবে দু'দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার পরদিনই থানচি উপজেলার সোনালি ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন 'কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ' জড়িত বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র?্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথবাহিনী। অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। যৌথবাহিনীর এ অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।