রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকা এক মোটর সাইকেল চালককে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃতু্য হয়েছে। শনিবার রাতের এ ঘটনায় নিহত নোমান মোলস্না (৩৬) ফকিরাপুলে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন।
অফিস থেকে বের হওয়ার পর মাতুয়াইলে বাসায় ফিরছেন বলে স্ত্রী মারুফা বেগমকে ফোনও করেছিলেন। পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মারুফা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার স্বামীর মৃতু্য হয়।
মারুফা ও তার স্বজনরা বলেন, যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেট এলাকা থেকে নোমানকে উদ্ধারের পর কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে জানান।
আহত মোটর সাইকেল চালক নোমানকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা পথচারী রাজু আহমেদ বলেন, সাদ্দাম মার্কেটের
সামনে সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিলেন এ ব্যক্তি, পাশে ছিল মোটর সাইকেল। তিনিও মোটর সাইকেল নিয়ে সেখান দিয়ে যাওয়ার পথে অনেক লোকের ভিড় দেখে থামেন। আহত ব্যক্তিকে ঘিরে ভিড় জমলেও কেউ তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন না।
পরে রাজু মোটর সাইকেল থেকে নেমে নোমানকে উদ্ধার করে প্রথমে সানারপাড়ে একটি হাসপাতালে নেন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে কোন বাহনে নোমান সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তা জানাতে পারেননি রাজু।
নোমান মাতুয়াইলে পরিবারের সঙ্গে নিজের ফ্লাটে থাকতেন। তার দুই ছেলে রয়েছে। ফকিরাপুলে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে তিনি চাকরি করতেন। কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একতা বাজার গ্রামের নুরুজ্জামানের একমাত্র ছেলে ছিলেন নোমান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানাকেও অবহিত করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসেন নিহতের স্ত্রী মারুয়া বেগমসহ অন্যান্য স্বজন। বিলাপ করতে থাকা মারুয়া বলছিলেন, বাসায় তিনি স্বামীর ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। পরে খবর পান সড়ক দুর্ঘটনার। ঢাকা মেডিকেলে এসে স্বামীকে মৃত অবস্থায় পেয়ে আহাজারিতে ভেঙে পড়েন তিনি।