উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, 'যে কোনও মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।' সুষ্ঠু ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যে কোনও মূল্য নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।'
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। তবে প্রথম ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের
সময় শেষে ভোটের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ জন। নির্বাচনে তিন পদে এখন ভোটের মাঠে আছেন এক হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।
সবশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপের উপজেলা ভোটে প্রায় পাঁচশ উপজেলার মধ্যে ৪৬৫ উপজেলায় ভোট হয়। সেসময় তিনটি পদে সব মিলিয়ে ২২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।