ঋণের শর্ত পূরণের কাজ পর্যালোচনা বা রিভিউ করতে ঢাকা এসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফের দল। মঙ্গলবার ১০ সদস্যের আইএমএফ'র প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় পৌঁছেছে।
প্রতিনিধি দলটি বুধবার থেকেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইত্যাদি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শুরু করবে। বৈঠক চলবে আগামী ৮ মে পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি চলমান। দুই কিস্তির অর্থও পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই মাসের মধ্যে তৃতীয় কিস্তির অর্থ
পাওয়ার কথা। অথচ বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের উন্নতি হয়নি। ব্যাংক খাতে ঋণের সুদহার বাড়লেও মূল্যস্ফীতি এখনো ১০ শতাংশের কাছাকাছি। রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণের কাছাকাছি জায়গায় নেই। ব্যাংক খাত সংস্কারের কার্যক্রমেও পিছিয়ে বাংলাদেশ। এসব বাস্তবতা সামনে রেখে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের শর্ত পূরণের কাজ বৈঠকে পর্যালোচনা হবে। অবশ্য প্রতিবছর বাজেটের আগে আইএমএফ'র একটি দল ঢাকায় আসে।
আইএমএফ'র এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন ১৮ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি সেভাবে হয়নি। সময় এসেছে বাংলাদেশকে এখন মুদ্রার নমনীয় বিনিময় হারের দিকে যেতে হবে।'
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কার্যক্রমের বিপরীতে আইএমএফ অনেক শর্ত দেয়। রিজার্ভ ছাড়া প্রায় সব শর্ত পূরণ করে দুই দফায় দুই কিস্তির অর্থ পেয়েছেও বাংলাদেশ। এবার তৃতীয় কিস্তির পালা দুই মাস পর অর্থাৎ আগামী জুনে যা পাওয়ার কথা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের শর্ত কতখানি কী পূরণ হলো, তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই কিস্তি ছাড় করা হবে।