উপজেলা নির্বাচন
দলীয় নির্দেশে জটিলতা অপেক্ষায় মন্ত্রী-এমপিরা
মনোনয়ন দাখিলের আগে শেষ সময়ে এসে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে বেশকিছু উপজেলায় প্রার্থী শূন্যতা ও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে
প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
সাখাওয়াত হোসেন
দলের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ এবং তা না মানলে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকিতে কোনো হিলদোল নেই কারও। বরং কোনো কোনো এলাকায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন দাপুটে মন্ত্রী-এমপিরা। কেননা দলের হাইকমান্ডের আকস্মিক এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে পরিস্থিতি বেগতিক হবে- এ বিষয়টি টের পেয়ে গেছেন তারা। তাই তারা এখন নতুন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় অনড় রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শেষ সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর করা সম্ভব হবে তা নিয়ে খোদ দলের শীর্ষ মহলেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা বেশ কয়েকটি উপজেলায় শুধু মন্ত্রী-এমপিদের একাধিক স্বজনই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে দলের অন্য কাউকে মনোনয়ন দাখিলেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে সেখানে প্রার্থী শূন্যতা দেখা দেবে। এ অবস্থায় সেখানকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ নির্বাচন শূন্য থাকবে নাকি স্থগিত করা হবে এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হবে।
এ ছাড়া আরও বেশকিছু উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের একাধিক স্বজনের বাইরে মাত্র একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। ফলে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে সেখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এতে নির্বাচনকে অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার যে টার্গেট নিয়ে আওয়ামী লীগ এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তা পুরোটাই ভেস্তে যাবে।
অন্যদিকে বেশকিছু উপজেলাতে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বাইরে বিএনপি-জামায়াত ও অন্য রাজনৈতিক দলের এক বা একাধিক প্রার্থী রয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো ১
\হপ্রার্থী নেই। তাই মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে ওইসব উপজেলায় বিরোধীদলীয় প্রার্থীর নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত হবে।
এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রী-এমপিরা অনেকটা নিশ্চিত, দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আকস্মিক যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শিগগিরই তা তুলে নেওয়া হবে। তাই দলের নতুন নির্দেশনার অপেক্ষা করছেন তারা। একই সঙ্গে এ সুযোগে তাদের স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য নানা ফন্দি আঁটছেন তারা। পদ-পদবি হারানোর ভয়ে সহযোগী নেতাকর্মী যাতে ভোল পাল্টাতে না পারেন সে ব্যাপারে তারা আরও সতর্ক হয়ে উঠেছেন।
আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্বাচনকেন্দ্রিক এ বিশেষ নির্দেশনার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যান সে বিষয়টিতেও মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এটি সম্পূর্ণ দলীয় বিষয়। তবে মন্ত্রী-এমপিরা আইনসম্মতভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারেন না। কিন্তু তাদের স্বজনরা নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি কতটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, স্বাভাবিকভাবেই সে প্রশ্ন উঠে আসে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ভাষ্য, এমপি-মন্ত্রীরা প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় তার অবস্থান সুদৃঢ় রাখতে চান। তারা মনে করেন, তাদের ঘনিষ্টজনদের উপজেলা নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে না পারলে মাঠ পর্যায়ে তাদের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়বে। তাই দল যে নির্দেশই দিক না কেন, দলীয় এমপি-মন্ত্রীরা স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে শেষ পর্যন্ত নানা কৌশলে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এদিকে দেশের যেসব এলাকায় মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, ওইসব এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানান, বিগত দিনেও আওয়ামী লীগ এমন অনেক নির্দেশ দিয়েছে, যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু দলের এমন নির্দেশ অনেক নেতাকর্মীই মানেননি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এবারও হয়তো দলীয় এমপি-মন্ত্রীরা হাইকমান্ডের নির্দেশনা তোয়াক্কা করবেন না। তবে এমনটি হলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ বিভেদ ও সংঘাত-সহিংসতা আরও বাড়বে এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের ধারণা, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা শেষ পর্যন্ত সবাই নির্দ্বিধায় মেনে নেবেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউলস্ন্যাহ বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে হলে মন্ত্রী-এমপিদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। এটা দলের সিদ্ধান্ত। আর কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই স্বাভাবিক। মন্ত্রী-এমপিদের এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব থাকার কারণে তাদের স্বজনরা নির্বাচনে দাঁড়ালে অন্য প্রার্থীরা বিপাকে পড়ে যান বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, ওই বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নিজ স্বজনদের উপজেলা প্রার্থী পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য না করবেন প্রথমে তাদের দলীয় পদ কেড়ে নেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তারা কালো তালিকাভুক্ত হবেন। যারা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী আছেন, তাদের মন্ত্রিত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
তবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের কারও মধ্যেই কোনো ধরনের ভীতি কাজ করছে না। বরং বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে খুব শিগগিরই দলীয় হাইকমান্ড আগের নির্দেশনা তুলে নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাবে এমন প্রত্যাশায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন।
বাস্তবিক অর্থে ভোটের মাঠে যে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যায়যায়দিনের মাদারীপুর স্টাফ রিপোর্টার মঞ্জুর হোসেন জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের পরিবারের কোনো সদস্য অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের এই ঘোষণার পরও মাদারীপুর সদর উপজেলার সর্বত্রই ভোটের প্রচারণায় আগের ধারাই চলমান রয়েছে। কেননা মাদারীপুরে যারা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন তারা দুইজনই শাজাহান খান এমপির পরিবারের সদস্য। তারা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রার্থী থাকবে না। তাহলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন কি হবে? নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ নির্বাচন শূন্য থাকবে না-কি স্থগিত হবে? স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের ধারণা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিশ্চিত এ ঝুঁকি নেবে না। সুতরাং সেখানে দু'প্রার্থীই আগের মতো তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুর জেলায় উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে মাদারীপুর সদর, রাজৈর ও শিবচর উপজেলার নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে, বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য আসিবুর রহমান খান। অপর প্রার্থী পাভেলুর রহমান (শফিক) খান সংসদ শাজাহান খানের আপন চাচাত ভাই।
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, 'মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান এবং আমার আপন চাচাত ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য কোনো প্রার্থী নেই। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি এরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় তাহলে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে শূন্যতা দেখা দেবে। মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলব।' তবে নির্বাচনের বিষয়ে তিনি কারও পক্ষে কোনো হস্তক্ষেপ করছেন না বলে দাবি করেন শাজাহান খান।
এদিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশীক আলী। আয়েশা ফেরদৌস এর আগে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন। তার ছেলে আশীক আলী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
একই পদে প্রার্থী হয়েছেন মুশফিকুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি। তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তবে তার কোনো পদ-পদবি নেই। মুশফিকুর রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন।
এ পরিস্থিতিতে সাংসদ মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশীক আলী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে সেখানে মুশফিকুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। যা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দলের সমর্থকরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে মনে করছেন সাংসদ মোহাম্মদ আলীর অনুসারীরা। একই সঙ্গে দল এ ধরনের ঝুঁকি নেবে না বলেও ধারণা সাধারণ ভোটারদের।
এদিকে যায়যায়দিনের ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী প্রতিনিধি এসএম মশিউর রহমান জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৪ জন। এর মধ্যে একই পরিবারের তিন প্রার্থী হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলে উপজেলা যুবলীগের সদস্য আলী আফসার। ওই তিন প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনের পরিবারের সদস্য। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবীব বুলবুল।
এ পরিস্থিতিতে সাংসদের ৩ স্বজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চতুর্থ প্রার্থী আহসান হাবীব বুলবুল নির্বাচিত হবেন। এতে উপজেলা নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে টার্গেট নিয়েছে তা পুরোপুরি ভেস্তে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটাররা।
তাই শেষ সময়ে এসে দলীয় হাইকমান্ড এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে এমন প্রত্যাশায় স্থানীয় সাংসদ মাজহারুল ইসলাম সুজনের তিন স্বজন জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা জানান, শুধু এ কয়েকটিতেই নয়, আরও বিপুলসংখ্যক উপজেলায় একই ধরনের সংকট রয়েছে। তাই এ পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আগের নির্দেশনা থেকে সরে আসা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই বলে তারা মনে করছেন।