বিশেষায়িত সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয় 'শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি'র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও বরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হকের ৬৮তম জন্মদিন আজ। বাগেরহাট জেলার রামপালে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
চিত্রশিল্পে অনবদ্য ভূমিকা, বিশেষ করে চিত্রাঙ্কনে শিশুদের আগ্রহ তৈরি ও তাদের সৃজনশীল মনোবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি তিনি 'মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০২৩' অর্জন করেন।
বরেণ্য এই শিল্পী ১৯৭৫ থেকে প্রায় অর্ধশতক বছর ধরে বাংলাদেশের কোমলমতি শিশুদের সৃজনশীল ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তৎকালীন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে বিএফএ ও এমএফএ সম্পন্ন করেন এই শিল্পী।
৯০-এর দশকে জাপান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মনবুশো) বৃত্তি নিয়ে সেখানে চার বছর লেখাপড়া শেষে দেশে ফিরে ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি ১৯৭৫ সালে আজিমপুর লেডিস ক্লাবে চিত্রাঙ্কন বিভাগ, ১৯৮১ সালে 'বাংলাদেশ শিশু একাডেমি'র চিত্রাঙ্কন বিভাগ, ১৯৮৯ সালে প্রভাতি আর্ট স্কুল, ২০০২ সালে 'শান্ত-মারিয়াম একাডেমি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি' এবং ২০০৬ সালে বাংলাদেশের কোমলমতি শিশুদের মানবিক ও সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র 'সেন্টার ফর চাইন্ড ক্রিয়েটিভিটি'। এই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০১৩ সালে 'মোস্তাফিজ একাডেমি অব ফাইন আর্টস' (মাফা) প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবির শান্তর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠা করেন 'শান্ত-মারিয়াম একাডেমি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্ট, ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি' (বর্তমানে শান্ত মারিয়াম ইনস্টিটিউট অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি) এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি।
শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত দক্ষ, পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি একজন বহুমাত্রিক শিল্পী তথা সৃজনশীল মানুষ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি