লেবানন থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহর ছোড়া ড্রোন ইসরাইলের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আঘাত হেনেছে। এতে ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। বুধবার ইসরাইলের উত্তর সীমান্তের আরব আল-আরামশি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চিকিৎসক ও সেনাবাহিনীর কাছ থেকে হামলার বিষয়ে জানা গেছে।
স্থানীয় গালিলি মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এই হামলার দায় স্বীকার করে হিজবুলস্নাহ বলেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ব্যবহার করে, এমন একটি ভবন লক্ষ্য করে তারা এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। একদিন আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের হামলায় দুই কমান্ডারসহ
তিন সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে হিজবুলস্নাহ জানিয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সীমান্তের বসতিতে বেশ কয়েকটি আঘাত এসেছে। তবে হামলায় আহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো তথ্য দেয়নি। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে আক্রান্ত কমিউনিটি সেন্টারের কাছে একটি গাড়িতেও হামলা হয়েছে।
এ হামলা শুরু হওয়ার সতর্কতামূলক সাইরেন বাজেনি। কেন হামলার আগে অ্যালার্ম সক্রিয় করা হয়নি, তা তদন্ত করছে আইডিএফ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন কমিউনিটি সেন্টারের ওপর পড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।
ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালানোর পর থেকে গত ছয় মাস ইসরাইল সীমান্তে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুলস্নাহ। লেবানন সীমান্ত থেকে থেকে কখনো তারা রকেট, কখনো ড্রোন আবার ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়ে আসছে হিজবুলস্নাহ।
এর আগে গত বুধবার ইসরাইলের বিরানিট সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করে হিজবুলস্নাহ। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইসরাইল