আগের দামে ফেরার সুযোগ নেই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
লিটারে ১০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৩ টাকা। এর আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৩ টাকা। মঙ্গলবার এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে, মিল মালিকদের সংগঠন ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে ৫ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
রোজার মাস সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গত ফেব্রম্নয়ারি মাসে ভোজ্যতেল, চিনি, চাল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। সেখানে তেলের শুল্ক কমানো হয়েছিল ৫ শতাংশ, যা কার্যকর ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
এর ওপর ভিত্তি করে গত ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন মিল মালিকরা। তবে শুল্ক প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষের দিন সোমবার ফের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
'ভোজ্যতেলের মূল্য ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে' শিরোনামে ওই চিঠিতে বলা হয়, শুল্ক অব্যাহতির বিষয়ে
গত ৭ ফেব্রম্নয়ারি জারি করা এসআরওর মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় ১৬ এপ্রিল থেকে পাম তেল ও সয়াবিন তেল ভ্যাট অব্যাহতির আগের মূল্যে সরবরাহ করা হবে।
তবে শুল্ক অব্যাহতির মেয়াদ শেষে মিল মালিকদের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আপত্তি জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিল মালিকদের এভাবে দাম বাড়ানোর 'সুযোগ নেই'।
মিলারদের ওই চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম কোনো অবস্থাতেই আগের দামে ফিরে যাওয়ার 'সুযোগ নেই'। ভ্যাট সুবিধার মেয়াদ যেহেতু শেষ হয়েছে, সুতরাং তেলের আন্তর্জাতিক মূল্য, আমদানি মূল্য এবং অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ করে ট্যারিফ কমিশন দেখবে। দামটা কেমন হওয়া উচিত সেটা ট্যারিফ কমিশন দেখার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে।'
সরকারকে পাশ কাটিয়ে মিল মালিকরা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে যেভাবে দাম ঘোষণা অবহিত করেছে, তা গ্রহণযোগ্য কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো চিঠি আমার হাতে আসেনি। আমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খোঁজ নেব। তবে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।'