পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর। শনিবার ২৬ রমজান দিবাগত রাত ছিল লাইলাতুল কদর। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ও পুণ্যময় এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির জন্য ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মসজিদসমূহে জমায়েত হতে শুরু করেন। মুসলিম নারীরা ঘরে ঘরে এই রাতের ইবাদতে মশগুল থাকেন। মহান আলস্নাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আলস্নাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আলস্নাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আলস্নাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। তারা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটিয়েছেন। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে বিপুলসংখ্যক মুসলিস্ন জমায়েত হয়ে রাতভর ইবাদত-বন্দেগি করেন। সব মসজিদে খতমে তারাবি শেষ হয়েছে। \হরোজাদাররা এ রাতটির জন্য দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করে থাকেন। এই লাইলাতুল কদরে বিশেষ দোয়া পড়ার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন নবিজি। হজরত আয়েশা রাদিয়ালস্নাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আলস্নাহর রাসুল! (সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম) আপনি বলে দিন, আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়ব? রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বললেন, তুমি বলবে- 'আলস্নাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়ু্যন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।' অর্থ: হে আলস্নাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত) রমজান মাসের ২১ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই পবিত্র লাইলাতুল কদর। তবে ২৭ রমজান, অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নিয়ে থাকেন কেউ কেউ। পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।