দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন

১৬১ উপজেলায় ভোট ২১ মে

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা পরিষদে ২১ মে ভোটের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। ২১ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা এ ভোট চলবে। চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাধারণ নির্বাচন হবে এসব উপজেলায়। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত হয়। পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বিস্তারিত দিনক্ষণ জানান। তিনি বলেন, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ ও কক্সবাজার এই ৯ জেলার উপজেলাগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে হবে। উপজেলার ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা হবেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন বাধ্যতামূলক জানিয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, 'সম্পূর্ণ কাজটা অনলাইনে করতে হবে। জামানতের টাকা অনলাইন ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।' উপজেলার ভোটে এমপিদের যে প্রভাব বিস্তারের প্রবণতা থাকে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি সচিব বলেন, 'আচরণ বিধিমালা আছে, সেটার কঠোর প্রয়োগ করব।' এদিকে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। ৮ মে প্রথম ধাপের পর ২১ মে ও ২৯ মে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ এবং ৫ জুন শেষ ধাপের ভোট হবে। আইনে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচন করতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি সংশোধন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ সহজ করেছে। এতদিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের যে তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হত, এবার তা দিতে হবে না। সেই সঙ্গে সাদাকালোর সঙ্গে রঙিন পোস্টারও ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোটের প্রচারের সময়ও পাচ্ছেন বেশি। তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার। চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। দেশে এখন ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টির ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোট হবে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। প্রথম চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়। দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর এবার স্থানীয় নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রেখেছে তারা।