জানালেন ওবায়দুল কাদের

বুয়েট নিয়ে অ্যাকশনে যেতে পারে সরকার

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বুয়েটের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি-জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হবে, এটা যাতে না হয় আমরা তদন্ত করে দেখছি। এরকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে। রোববার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের দলীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারব না এটা কোন ধরনের আইন? কোন ধরনের নিয়ম? আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'নির্বাচনে প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আমরা এমপি-মন্ত্রী সাহেবরা যদি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকি তাহলে বিনা প্রতীকে নির্বাচন করার যে উদ্দেশ্য নেত্রী স্থির করেছেন তা সার্থক হবে। কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। যার নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে করবেন। সে স্বাধীনতা আছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, যদি কোনো অনিয়ম মনে করে তারা ব্যবস্থা নেবে।' আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। কাজেই আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ভালোভাবেই চলছে সবকিছু। এর মধ্যে দায়িত্বশীলদের এমন কিছু কথাবার্তা দলকে সংকটে ফেলে। ফ্রি স্টাইলে যা কিছু বলবেন- এটা তো আওয়ামী লীগ নয়। দলের গঠনতন্ত্র নিয়ম-কানুন আছে। এগুলোর অ্যাকশন আমরা নেব। ইতোমধ্যে কিছু অ্যাকশন নেওয়াও হয়েছে।' স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার কার ছিল? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চলছে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, এই বিতর্কের জবাবটা আমরা মোটাদাগে বলি, পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না। তাহলে এম এ মান্নান, সন্দীপ এরাও তো স্বাধীনতার ঘোষক! তারপরও বড় কথা এ ঘোষণার বৈধ অধিকার কার ছিল? বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার ছিল না। সে ম্যান্ডেট '৭০-এর নির্বাচনে জনগণ তাকে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিগ্যাসি। বঙ্গবন্ধুর পর আমাদের অর্থনৈতিক ২ \হমুক্তি সংগ্রামের লিগ্যাসি হিসেবে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। এই জনপদে সবার মৃতু্য হবে। নশ্বর পৃথিবীতে কিছুই অবিনশ্বর নয়। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, শেখ হাসিনাও থাকবেন না। কিন্তু তাদের উত্তরাধিকারের কোনোদিনও মৃতু্য হবে না। আইয়ুব খানের ভাষায় কথা বলছে বিএনপি ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বিভিন্ন জন কেউ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন, আবার কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেন। সেই পাকিস্তানি আমল থেকে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছে, এখন সেই ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। তাদের সব ইসু্যই মার খেয়েছে ভোটে পরাজিত হয়ে। এখন তাদের ইসু্য ভারত বিরোধিতা। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ফোভিয়া তৈরি করার ইসু্য খুঁজে নিয়েছে। রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। আর তারা এখন রিজার্ভ নিয়ে কটাক্ষ করে। যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, ঈদ উপলক্ষে সে রিজার্ভ আরও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তারা না জেনে-শুনেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে। বাজার ওঠানামা করবেই বাজার দর নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বাজার ওঠানামা করবেই। বিশ্বসংকট এর জন্য দায়ী, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই এ সংকট অতিক্রম করার সাহস আমরা পাচ্ছি। ইনশাআলস্নাহ এ সংকট কেটে যাবে। এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলন করে সেখানে কমিটি গঠন করা হবে। ঢাকা থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে কেন কমিটি গঠন করতে হবে? আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতারা।