৮ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। শনিবার হোটেল সোনারগাঁও প্যানপ্যাসিফিকের বলরুমে ইফতারে একই টেবিলের বসে ইফতার করেন জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
প্রতিনিধি দলের অন্যদের মধ্যে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারওয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, দলটির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন ও শায়রুল কবির খান। এছাড়া ডাকসুর সাবেক ভিপি নরুল হক নূর, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএলডিপির
শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে জামায়াতের ইফতারে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপরের বছরে জামায়াতের ইফতার পার্টি আয়োজন করেও পরে পুলিশের বিধি নিষেধে বাতিল হয়ে যায়। এরপর থেকে সেভাবে বড়্ আকারে ইফতার মাহফিল করে দেখা যায়নি দলটিকে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর থেকে দীর্ঘদিনের মিত্র ও জোট সঙ্গি জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বিএনপির। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই দুই দলের শীর্ষ নেতারা পারস্পরিক বাকযুদ্ধেও জড়ান। একপর্যায়ে জামায়াতকে নিয়ে গঠিত ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দল দুটির নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কাছাকাছি হতে দেখা যায়নি।
গত বছরের রমজানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে জামায়াতকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। এবার ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতারে জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ চার নেতা যোগ দেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
জামায়াতের ইফতারে আগে দেশের বর্তমান অবস্থা ও সরকারের দমনপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুলস্নাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।