সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

বাংলাদেশে বিনিয়োগে বাধা ঘুষ, দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতা

এতে বলা হয়েছে, এখানে দুর্নীতিবিরোধী আইনের প্রয়োগও যথেষ্ট নয়। বাণিজ্যিক সমঝোতাগুলোর ক্ষেত্রে ঘুষ ও চাঁদা দেওয়ার অভিযোগ প্রচুর
যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশে বিনিয়োগে বাধা ঘুষ, দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতা

বাংলাদেশে বিনিয়োগে বাধা হিসেবে ঘুষ, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতাকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর (ইউএসটিআর) প্রকাশিত ২০২৪ সালের বৈদেশিক বাণিজ্যে বাধাবিষয়ক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

ঘুষ ও দুর্নীতিকে বাংলাদেশের অনেক পুরনো সমস্যা হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে সেই মার্কিন প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়েছে, এখানে দুর্নীতিবিরোধী আইনের প্রয়োগও যথেষ্ট নয়। বাণিজ্যিক সমঝোতাগুলোর ক্ষেত্রে ঘুষ ও চাঁদা দেওয়ার অভিযোগ প্রচুর। অর্থপাচারের অভিযোগও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করে আসছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট পোর্টাল চালু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদাররা বিভিন্ন দরপত্রে প্রত্যাশিত পণ্যের পুরনো কারিগরি মান নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া কারিগরি মান পছন্দের দরদাতাদের কাজ দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্ধারণ করা হয় কি না, তা নিয়ে মার্কিন অংশীদারদের সন্দেহ আছে।

সরকারি দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতি আছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কয়েকটি মার্কিন কোম্পানি দাবি করেছে, বাংলাদেশে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্রয়প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির দরপত্র ঠেকাতে বাংলাদেশি অংশীদারদের ব্যবহার করেছে। মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে সরকার নিলামে ক্রয়প্রক্রিয়ায় দরপত্র বাছাইয়ে কারচুপির অভিযোগ করেছে। বাংলাদেশ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ডাবিস্নউ চুক্তির অংশীদার বা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ডাবিস্নউটিও কমিটির পর্যবেক্ষক নয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখনো 'কাস্টমস ভ্যালুয়েশন লেজিসলেশন' সম্পর্কে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে (ডাবিস্নউটিও) অবহিত করেনি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ও বাছাইপ্রক্রিয়ার কথা বলে থাকে।

মেধাসম্পদ সুরক্ষায় বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্যোগ নিলেও এর কার্যকর প্রয়োগ নিয়ে নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে নকল পণ্য সহজলভ্যতাকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। মার্কিন অংশীদারদের অভিযোগ, ভোগ্য পণ্য, পোশাক, ওষুধ ও সফটওয়্যার খাতের পণ্যগুলো বাংলাদেশে নকল হচ্ছে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিভিন্ন আইন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ থেকে লভ্যাংশ বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার কথা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তুলে ধরেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স বিদেশে পাঠাতে আইনি জটিলতার কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

শ্রম ইসু্যতে উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করে। এটি এখনো বহাল রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উলেস্নখ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে