বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন 'কেনেন না' বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যিনি কয়েক দিন আগে ভারতীয় শাল পুড়িয়ে আলোচনার জন্ম দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, 'গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আচ্ছা ওরা এত কিছু করছে, শাল পোড়ায়, তো বউয়ের শাড়িটা পোড়াতে পারে না? আমি বলতে চাই, বিএনপি নেতারা ভারত থেকে শাড়ি তেমন কেনেন না।'
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের কটাক্ষ করে ওই বক্তব্য দিয়ে 'দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।
গত কিছুদিন ধরে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রচার চলছে, যাতে সমর্থন দিচ্ছেন বিএনপির কোনো কোনো নেতা।
রিজভী বলেন, 'আমার নানার বাড়ি হচ্ছে ইন্ডিয়ায়। বিয়ের পরে একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা একটা শাড়ি দিয়েছিলেন। আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ওই শাড়িটা কই? আমার মিসেস বললেন, সেটা দিয়ে কবেই কাঁথা সেলাই করেছি। আমাদের দেশের মেয়েরা শাড়ি পুরনো হলে সেটা দিয়ে কাঁথা সেলাই করে।' তিনি আরও বলেন, 'যে দেশ ভোট ডাকাত দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেই দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলো, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো সেই নির্বাচনকেও তারা স্বীকৃতি দিল। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেল তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন 'আমরা এই সরকারের পাশে আছি। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, সেই দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে, আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।'
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন। আপনি বলেছেন 'আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে?' যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক শ্রমিক, ছাত্র, যুবকরা, নজরুল ইসলাম খান, সাদেক হোসেন খোকার মতো প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধারা।'
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আমরা বিএনপি পরিবার সেলের উদ্যোগে 'গুম-খুন-পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।
সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রশিদুজ্জামান মিলস্নাত, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর হেলাল, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, চৌধুরী আলমের ভাই খুরশীদ আলম মিন্টু, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজীদা ইসলাম তুলি, নুরে আলমের স্ত্রী রিনা আলম, মাহবুবুর রহমান বাপ্পীর বোন ঝুমুর আক্তার, পারভেজ রেজার ছোট মেয়ে হৃদি বক্তব্য রাখেন।