দেশে মোট মৃতু্যর ৭০ শতাংশই ঘটে অসংক্রামক রোগে
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দেশে মোট মৃতু্যর বেশিরভাগই ঘটে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে। কিন্তু এ খাতে বাজেট বরাদ্দ খুবই কম। অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন এ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বুধবার অনলাইনে আয়োজিত 'অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বরাদ্দ : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত' শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। গেস্নাবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় সিলেট মহানগরীতে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ১৯ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
কর্মশালায় বলা হয়, বাংলাদেশে মোট মৃতু্যর ৭০ শতাংশই ঘটে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে। এসব রোগ মোকাবিলায় বাজেট বরাদ্দ খুবই সামান্য, মোট স্বাস্থ্য বাজেটের ৪ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দিলেও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে এ খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বাজেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নওএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম।
২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগে অকাল মৃতু্যর পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যসহ অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় সরকারের কিছু নীতিগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে যা পূরণ করতে প্রয়োজন এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের মতো ভয়াবহ অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় সরকার গৃহীত কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আসন্ন বাজেটে এর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখাতে টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করা গেলে অসংখ্য জীবন বাঁচানো যাবে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
গবেষণার সূত্র দিয়ে দাবি করা হয়, উচ্চ রক্তচাপের পরীক্ষা ও ওষুধের পিছনে ১ টাকা ব্যয় করলে সামগ্রিকভাবে ১৮ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রুহুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রামের সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।