বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন চিকিৎসকদের ভূয়সী
প্রশংসা করলেন ভুটানের রাজা
প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ঢাকা সফরে এসে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
মঙ্গলবার সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে যান ভুটানের রাজা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।
রাজা চলে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'পরির্দশনে সময় ভুটানের রাজা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
\হবার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের একজন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন, তাকে দেখেও রাজা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।'
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার ঢাকায় আসেন রাজা ওয়াংচুক এবং এবং রানী জেৎসুন পেমা। সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। নবায়ন করা হয় পুরনো একটি চুক্তি।
এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড পস্নাস্টিক সার্জারি ইউনিট করে দেবে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ যেন ভুটানে একটি ভালোমানের হাসপাতাল তৈরি করে দেয় ভুটানের রাজা সে বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ সেখানকার চিকিৎসকদেরও প্রশিক্ষণ দেবে। আমরা মহামান্য রাজার সঙ্গে কথা বলেছি। সোমবার আমরা একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি যে ভুটানে আমরা একটা বার্ন ইউনিট বানিয়ে দেব। আমরা ভুটানের রাজাকে বলেছি, আমরা তাদের দেশের ডাক্তার নার্সদের প্রশিক্ষণ দেব। এটা শুধু বার্ন না, মেডিসিন, সার্জারি সব সেক্টরেই কাজ করা হবে। ওই হাসপাতাল চালু হওয়ার পর প্রথম দুই বছর যেন আমরা চালাতে পারি সেভাবেই ডাক্তারদের গড়ে তুলব।'
এর আগে সকালে সাড়ে ৯টায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আসেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ। তার সঙ্গে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল ছিলেন।
সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সায়মা ওয়াজেদ।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. টিটু মিঞাসহ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।