তেপ্পান্ন বছর আগে বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকার রাতটিকে আলো নিভিয়ে স্মরণ করবে বাংলাদেশ।
সোমবার রাত ১১টায় এক মিনিট পুরো দেশ অন্ধকারে থাকবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, গণহত্যা দিবস স্মরণে অনুষ্ঠেয় এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে কেবল কেপিআই ও জরুরি স্থাপনা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর মুক্তিকামী জনতার মধ্যে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিধনযজ্ঞের প্রস্তুতি নেয়।
বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, শুরু হয় 'অপারেশন সার্চলাইট'।
সেই অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, রমনা কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় গণহত্যা। শুধু ঢাকাতেই অন্তত সাত হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। সশস্ত্র সংগ্রামে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে এদিন গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।
কালরাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।