জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
শুক্রবার সকালে আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্যসহ মোট ছয়জন অবন্তিকার কুমিলস্নার বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় আসেন।
তারা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম ও তার ভাই জারিফ জাওয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় কমিটিকে অবন্তিকার আত্মহত্যার দিনের ঘটনা জানান মা-ভাই।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা কুমিলস্নায় এসেছেন। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে হলে হয়তো আমার মেয়েকে হারাতে হতো না।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ছাড়াও সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিলস্নাহ, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ, সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে সহকারী প্রক্টর মুনিরা জাহান সুমি কথা বলেন অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে।
গত ১৫ মার্চ রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে মৃতু্যর জন্য দায়ী করে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী গ্রেপ্তার হয়ে কুমিলস্না কারাগারে আছেন।
আম্মান সিদ্দিকীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।