বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এবারও জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
এবারও জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা

এ বছর রোজার ঈদে জনপ্রতি ফিতরার সর্বনিম্ন হার ১১৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সর্বোচ্চ ফিতরা হবে ২,৯৭০ টাকা।

বাংলাদেশে মুসলমানদের জন্য রোজার ঈদে নূ্যনতম ফিতরার এই হার গতবারের সমান। তবে গত বছর সর্বোচ্চ ফিতরা ছিল ২,৬৪০ টাকা।

বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এবারের হার নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ

রুহুল আমিন।

ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য রোজার ঈদে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।

মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।

আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম মাধ্যমে ফিতরা আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজারমূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

সে অনুযায়ী গম বা আটার দামে ফিতরা দিলে ১১৫ টাকা, যবের দামে দিলে ৪০০ টাকা, খেজুরের দামে দিলে ২,৪৭৫ টাকা, কিসমিসের দামে দিলে ২,১৪৫ টাকা এবং পনিরের দামে দিলে ২,৯৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে