অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার কুমিলস্না
কুমিলস্নায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের মাস্টার্সের মেধাবী ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাকে কুমিলস্নার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে হাজির করে। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার একই আদালতে এ মামলায় আসামি অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে দুই দিনের এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে কুমিলস্না কোতোয়ালি মডেল থানায় নেওয়া হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, সরকারি প্রক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদে অবন্তিকার বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, মামলার তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সহকারী প্রক্টরের আইনজীবী শাহাবউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, 'অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সহকারী প্রক্টরের সম্পৃক্তা নেই। তাকে বিনা অপরাধে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা আশা করি আদালত শিগগিরই তাকে জামিন দেবে।' এর আগে গত শুক্রবার রাতে কুমিলস্না নগরের উত্তর বাগিচাগাঁও এলাকার 'অরণি' নামে ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে মৃতু্যর জন্য জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করেন। গত শনিবার রাতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন অবন্তিকার মা তাহ্মিনা শবনম। রোববার রাতে কুমিলস্না জেলা পুলিশের একটি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে দুই আসামিকে কুমিলস্নায় নিয়ে আসে।