ব্যাংকিং ইতিহাসের এক বিস্ময়কর ঘটনা রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত
প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
হল-মার্ক গ্রম্নপের ঋণ জালিয়াতি ব্যাংকিং ইতিহাসের এক বিস্ময়কর ঘটনা বলে মন্তব্য করে রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলো মনে করেন, তাদের মৃতু্যদন্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত বলে আদালত মনে করেন। তবে সংশ্লিষ্ট আইনে এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তাই ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় হল-মার্ক গ্রম্নপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ
\হ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়ার রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এই নয়জনকে পাঁচ কোটি টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবিরসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় হল-মার্ক গ্রম্নপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় জালিয়াতির মাধ্যমে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখা থেকে হল-মার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।