ম্যাজিস্ট্রেট এলে টাঙানো হয় তালিকা, কমে যায় পণ্যের দাম
প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর বনানীর কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় শুরু হয় এ অভিযান। এসময় বাজারে কিছুটা হুলুস্থুল পড়ে যায়। ম্যাজিস্ট্রেট বাজারে ঢুকেছেন জানাজানি হওয়ার পর অনেকে মূল্যতালিকা টাঙাতে শুরু করেন। অনেকে আবার আগের তালিকা খুলে নতুন তালিকা টাঙান। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বনানী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন। এ সময় দেখা যায় সব দোকানেই অধিকাংশ পণ্যের দাম আরও কম চাওয়া হচ্ছে।
বনানী কাঁচাবাজারে নিয়মিত বাজার-সদাই করা সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'ম্যাজিস্ট্রেট আইলেই সবাই দাম কম চান। ম্যাজিস্ট্রেট
গেলেই আবার বাজার আগুন হয়ে যায়। এমন অভিযানে কাম হইব না। জরিমানা করতে হইব, শাস্তি দিতে হইব।'
সিরাজুল ইসলামের কথার সত্যতাও মিলেছে। অভিযান শুরুর দিকে বাজারে অনেক দোকানে বাড়তি দাম চাওয়া হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সব দোকানে দাম কমে যায়। নির্ধারিত দরের চেয়েও অনেকে কম দামে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে শুরু করে দেন।
একই সময় এ বাজারের অনেক দোকানে সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দোকানে মূল্যতালিকাতে এ দাম লিখে রেখেছেন বিক্রেতারা। অথচ সরকার সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দাম বেঁধে দিয়েছে।
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও ৬৮ টাকা বেশি দরে মুরগি বিক্রি করেও কোনো জরিমানা গুনতে হয়নি বিক্রেতাদের। প্রাথমিকভাবে দোকানিকে সতর্ক করে দাম সংশোধন করে দিয়েই ফিরেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভাষ্য, 'প্রথমে সতর্ক করছি। তাদের (বিক্রেতা) জানিয়ে রাখছি যে, আমাদের মনিটরিং টিম নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবে। ভবিষ্যতে কোনো হেরফের হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা অভিযোগ করেন, অন্যসব বাজারের চেয়ে বনানী কাঁচাবাজারে সব জিনিসের দাম বেশি রাখেন বিক্রেতারা। অনেক দোকানি মূল্যতালিকাও টাঙান না। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের কথা বললে বিক্রেতারা খারাপ ব্যবহার করেন।
ক্রেতাদের এমন অভিযোগ শোনার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বাজারে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, প্রত্যেক ঘণ্টায় বাজার কমিটির মাধ্যমে আমরা বাজার মনিটরিং করব। মূল্যতালিকা সব দোকানে আছে কি না, সঠিক দাম নেওয়া হচ্ছে কি না, এগুলো আমরা তদারকি করব। যদি কোনোরকম অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হবে।