পটুয়াখালীতে সবজি ছাড়া সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে
প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও পটুয়াখালীর হাট বাজারগুলোতে অধিকাংশ পণ্যই নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি করলেও তা খুব বেশি কাজে আসছে না। অপরদিকে পটুয়াখালীর স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে মূল্যের পার্থক্য খুব বেশি না হলেও উৎপাদক এবং ভোক্তার পর্যায়ে দামের ব্যবধান অনেক বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মাছ, মাংস, সবজি, ডিমের মতো ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও গত দুই দিনেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। গরু মাংস ৬৬৪ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিলেও আগের দাম ৭৫০ টাকা কেজিতেই তা বিক্রি হচ্ছে। তেমনি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা কেজি দাম নির্ধারণ করলেও পটুয়াখালীর বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা কেজি নির্ধারণ করলেও বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজিতে। পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা দাম নির্ধারণ করলেও বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। একইভাবে আলু ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য মুদি মনোহরি পণ্য কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছ মাংস সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলেও সবজি এবং ডিম সরকার নির্ধারিত দামের থেকে কম দামেও পাওয়া যাচ্ছে। রোববার পটুয়াখালী নিউ মার্কেটে প্রতিকেজি বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ২০, সিম ৫০, শসা ৫০, বেগুন ৪০, ফুলকপি ৪০, পেপে ৫০, গাজর ৩০, টমেটো ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সবজির দাম কমতে থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে।
তবে সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সচেতন করা হলেও অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে অনেককে জরিমানা করা হচ্ছে।
তবে সরকার নির্ধারিত দামে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতা বিক্রেতাদের আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান বাজার সংশ্লিষ্টরা।