বঙ্গবন্ধু মুক্তি-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন -প্রধান বিচারপতি
প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন-সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এমনকি জীবন দিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতিই নন, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে থাকবেন।
রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার হ পৃষ্ঠা ২ কলাম ২
প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ ও অনুষ্ঠানের পরক্ষণে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অবস্থিত 'স্মৃতি চিরঞ্জীব' স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
পরে শিশুদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকের এ দিনকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে এ কারণে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে প্রতিভা ছিল, যে প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তিনি যে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে একটি জাতির জন্ম দিয়েছেন, সারা পৃথিবীতে এ প্রথম বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ। এর পেছনে তার যে অবিরাম সংগ্রাম সেটি শিশুদের বোঝানো দরকার।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু এক দিনে হয়ে ওঠেননি। তিনি যখন শিশু ছিলেন তখন থেকেই তার মধ্যে সে প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। শিশুকালের সহমর্মিতা, বন্ধুর প্রতি সহযোগিতা, বিপদে বন্ধুর প্রতি হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি চারিত্রিক গুণাবলি বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল।
একটি অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার আশা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজ এখানে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা যেন সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা শিশুদের মধ্যে চকোলেট বিতরণ করেন।