বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রিমোট দিয়ে ওজনে কারসাজি!

চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
রিমোট দিয়ে ওজনে কারসাজি!

সম্প্রতি ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ডিজিটাল মেশিন কারসাজি করে ওজন কম দেওয়া চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ।

আটকরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম ওরফে সজিব (৩৩), মো. মনির (৩৫), মো. লিটন (৩৮) ও মো. আলাউদ্দিন খাঁন (২৮)।

এ সময় চক্রের হোতা সজিবের কাছ থেকে পাঁচটি ডিজিটাল ওজন মেশিন, সাতটি রিমোট কন্ট্রোল, তাতালসহ ওজন মেশিন কারসাজি করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

ডিবি জানায়, সজিব পেশায় ইলেকট্রিক মেকানিক। অনলাইন থেকে বিশেষ কিছু সার্কিট সংগ্রহ করে ডিজিটাল ওজন মেশিন কারসাজি করে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ওজন কম-বেশি করার কৌশল রপ্ত করেন।

পরে এ কৌশলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীর কাপ্তান বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে পণ্য বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীদের পণ্যের ওজন কমিয়ে দিতেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাইকারি পণ্য বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছিলেন সজিব ও তার চক্রের সদস্য।

রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

তিনি বলেন, 'আমরা নতুন ধরনের একটি অপরাধ চক্রকে গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ আসে পণ্য পাইকারি বিক্রি করতে এসে অনেকেই ওজনে গরমিল পেতেন। অনেক সময় ক্রেতারাও এমন অভিযোগ করতেন। পরবর্তীতে এমন অভিযোগকে সামনে রেখে কাজ শুরু করে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। তদন্তের একপর্যায়ে চক্রটির সদস্যদের হাতেনাতে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সজিব পেশায় একজন টেলিভিশন মেকানিক। সে অনলাইন থেকে বিশেষ সার্কিট ও রিমোট অনলাইনে সংগ্রহ করে ডিজিটাল ওজন মেশিন কারসাজি করে। এর মাধ্যমে দূরে বসে ইচ্ছে মতো ওজন বাড়াতে-কমাতে পারে।

মেকানিক সজিব প্রতিটি মেশিন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করত বলেও জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, এ চক্রের কাছে ওজন কম দেওয়ার সাংকেতিক শব্দ হলো 'গাপসি'। এর অর্থ হলো ওজনে কম দিতে হবে। এসব মেশিন কাপ্তান বাজারে অসাধু পাইকারি মুরগি বা মাংস বিক্রেতারা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করত। তবে তাদের টার্গেট থাকে নতুন পণ্য বিক্রেতা ও পাইকারি ক্রেতারা।

রমজানে বাজারে পণ্যের মূল্যের কারসাজি প্রতিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'পণ্যের মূল্য কারসাজির বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে কাজ করছে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিদপ্তর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে কাজ করছে। আমরা কোথাও অনিয়মের অভিযোগ পেলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে