ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আব্দুল হাই এমপির জন্ম ১৯৫২ সালের ১ মে শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। পিতা ফয়জুদ্দিন মোলস্না ও মাতা ছকিরন নেছা দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পাস করার পর ভর্তি হন বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন বিএ। বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। বিপদে-আপদে ছুটে যান কর্মীদের পাশে। সেই থেকে তার জনপ্রিয়তা শুরু।
২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। আব্দুল হাইয়ের মৃতু্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোক
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার পতাকা প্রথম উত্তোলনকারী সংসদ সদস?্য আব্দুল হাইয়ের মৃতু্যতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও হুইপরা।